দক্ষিণ ভারত থেকে দক্ষিণ কলকাতা- শেফ সান্দ্রান কান্নানের চেন্নাই এক্সপ্রেসের যাত্রাটা স্বাদে-গন্ধে পরিপূর্ণ। চেট্টিনাড় প্রাসাদ মুখরিত ছিল তাঁর বাবার রান্নার গুণগানে। বাবাকে দেখে তামিলনাড়ুর হাসিখুশি ছেলেটা,তামিলনাড়ু থেকে পাড়ি দিয়েছিলেন দিল্লির ওয়েলকাম ম্যারিয়টের রান্নাঘরে। তারপর মৌর্য শেরাটন হয়ে কলকাতার আইটিসি সোনার-এর ডাইনিং হলে প্রতিদিনই তিনি ম্যাজিক স্বাদে বুঁদ করে রেখেছিলেন মহানগরীর খাদ্যরসিকদের। বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার ট্যামারিন্ড…
Blog
শেফ স্বরূপ চ্যাটার্জি
এই মূহুর্তে পদমর্যাদার নিরিখে শেফ স্বরূপ চ্যাটার্জি অম্বুজা নেওটিয়ার ঝাল ফরেজি রেস্তরাঁর সু-শেফ। তবে প্রোডাকশান লাইনে আসবেন এমন ভাবনা ছোটবেলা থেকে ছিল না। ইচ্ছে ছিল মিউজিক নিয়ে ভবিষ্যৎ গড়ার। এমনকি শেফ স্বরূপ ইন্ডিয়ান ক্লাসিকাল মিউজিক (ভোকাল)-এ গোল্ড মেডেলিস্ট। কিন্তু সুরের পথে আর থাকা হয়নি। দুর্গাপুর সোসাইটি অফ ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স থেকে হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোর্স করেন স্বরূপ।…
ফ্রুট টার্ট
শর্টকার্ট পেস্ট্রির উপকরণঃ- ময়দা (১৫০ গ্রাম), বেকিং পাউডার (১ চিমটি), ক্যাস্টর সুগার (১২০ গ্রাম), নুন (১ চিমটি), ডিম (৬০ গ্রাম), বাটার (১০০ গ্রাম), টার্ট মোল্ড (১০ ইঞ্চি)। চ্যান্টলি ক্রিমের উপকরণঃ- ফ্রেশ ক্রিম (২০০ গ্রাম), আইসিং সুগার (৫০ গ্রাম), ভ্যানিলা এসেন্স (১ চা-চামচ), ফলের টুকরো (আম, স্ট্রবেরি, আঙুর, প্লাম ইত্যাদি ইচ্ছানুযায়ী)। প্রণালীঃ- (বেকিং টেম্পারেচর ১৮০…
মধু জমে গেলে…
আমার মেজ মামার বাড়ি বিজয়ার প্রণাম করতে গেছিলাম। কথায় কথায় মেজমামি বলল,’দেখ না রীনা ফ্রিজে থেকে থেকে মধুটা কেমন জমে গেছে শিশিতে, তোর মামা দেখলে খুব রেগে যাবে।’ বললাম,’মামি চিন্তা করো না, একটা পাত্রে গরম জল ঢেলে তার মধ্যে মধুর শিশিটা বসিয়ে রাখ ১০ মিনিট। দেখবে মধু তরল হয়ে গেছে আগের মতো। মামা টের পর্যন্ত…
পনিরে বেশি নুন দিয়ে ফেললে…
গত পরশু আমার ননদের মেয়ে মুমুর বাড়িতে ডিনারে গিয়ে খেতে বসেই মাথা গরম হয়ে গেল। পনিরে অ্যাত্তো নুন কেউ দেয়! না থাকতে পেরে বলেই ফেললাম,’মুমু এবার থেকে কোনও রান্নায় নুন বেশি দিয়ে ফেললে, সঙ্গে সঙ্গে ওর মধ্যে একটা খোসা ছাড়ানো আলু ফেলে ফুটিয়ে নিবি। আলুতে বাড়তি নুন টেনে নেবে।’ যত্ত সব!
কাঁচা টমেটো পাকাতে…
হঠাৎ সেদিন রুমকির ফোন। বলে কী ‘ও কাকিমণি আমার কর্তা বাজার থেকে প্রায় ২ কিলো টমেটো এনেছে, সব ক’টা কাঁচা। এখন কী করি?’ বললাম,’এই ঘাবড়াস না, একটা পেপারব্যাগে টমেটোগুলোর মধ্যে একটা আপেল রেখে ঘরের এক কোণে ফেলে রাখ। ২ দিনের মধ্যে সব টমেটো পেকে যাবে।’
চিজ টাটকা রাখতে…
ছোট বোনের ছেলে পিকু পুজোতে এসেছিল আমার বাড়ি। কথায় কথায় বলল,’মাসিমণি চিজ কিনে রাখি, ফ্রিজেই নষ্ট হয়ে যায় পড়ে থেকে থেকে। কী করি বলো না।’ আহা রে বেচারা! স্টকহোমে একা একা থাকে। বললাম,’শোন এবার থেকে চিজ কিনে এনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্লাস্টিকের রাপিং খুলে ‘গ্রিজ প্রুফ’ পেপারে মুড়ে রাখবি, অনেকদিন পর্যন্ত টাটকা থাকবে চিজ।’
সেদ্ধ আলুর খোসা ছাড়ান সহজে…
সেদিন আমার সেজ বৌদি আমাকে ফোন করে দুঃখ করে বলল,’দ্যাখো না ঠাকুরঝি, তোমার দাদার আলুর দম খাওয়ার চোটে আমার নখের দফারফা। রোজ রোজ সেদ্ধ আলু ছুলতে গিয়ে নখ যাচ্ছে নষ্ট হয়ে।’ বললাম,’বৌদি আলু সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর ঠাণ্ডা জলে ডুবিয়ে রেখো খানিকক্ষণ। তারপর খোসা ছাড়িও। সহজেই খোসা ছেড়ে যাবে।’
ক্রিম চিকেন কাবাব
উপকরণঃ- বোনলেস চিকেন (৫০০ গ্রাম), নারকেলের জল (১ কাপ), ক্রিম (২০০ গ্রাম), কাজুবাদাম-চারমগজ বাটা (৫০ গ্রাম), নুন (স্বাদমতো), সাদা গোলমরিচ গুঁড়ো (পরিমাণমতো)। প্রণালীঃ- সমস্ত উপকরণ দিয়ে মাংসটা ম্যারিনেট করে আট ঘণ্টা রেখে দিন। পরে স্কিউয়ারে মাংসগুলো গেঁথে আভেনে বা তন্দুরে দিয়ে সেঁকে নিলেই রেডি। পুদিনা চাটনি আর স্যালাড-সহ পরিবেশন করুন।
পাতে পৌষমাস
সাতসকালে হাতা খুন্তি আর ব্যাডমিন্টন হাতে পিকনিকে বেরিয়ে পড়া, রাত গাঢ় হতেই বন্ধুর বাড়ির ছাদে অন্তহীন বারবিকিউ পার্টি রাম সহযোগে, আর বাড়ি ফিরলেই মায়ের স্নেহ কিংবা বউয়ের সোহাগ মেশানো পিঠে। গলানো সোনার মতো খেজুর রসও রীতিমতো ঢেউ তুলে উঁকি দিয়ে যায় মনের কোনায়। এ হল শীত উদযাপনের সময়। বাজারের থলে থেকে উঁকি দেওয়া পালং…
কেক ক্রিকেট কমলালেবু
ইডেনে ইংল্যান্ড ঘুরে গেছে। কলকাতা পাকিস্তানের প্রতীক্ষায়। ব্যাট বলের টুং-টাং, চিড়িয়াখানায় বাড়তি ভিড়, লেপ, সোয়েটার, ময়শ্চারাইজার– কলকাতায় এখন শীতের মরশুম। পার্কস্ট্রিট সাজছে বড়দিনের জন্য। হটকেক-চকোলেট, চলকে পড়া ওয়াইন আর কমলালেবুর কোয়ায় ঠোঁট ভিজিয়ে এখনই বলার সময় মেরি ক্রিসমাস কিংবা হ্যাপি নিউ ইয়ার। কভার স্টোরির পাতায় পাতায় তাই শীতের পরশ। কেক, ক্রিকেট, কমলালেবুর এক আশ্চর্য…
মৎস্যমুখ
বাঙালির হ্যাংলামি চেনার প্রথম শর্তই হল মাছ। পাতে পছন্দের মাছ পেলে বাঙালি মঙ্গলগ্রহে হেঁটেও দেখাতে পারে। লিখতে পারে চাঁদের পিঠে প্রেমের কবিতা। এহেন তাবড় বাঙালির জন্য একটা গোটা মেছো কাব্য লিখে ফেলল হ্যাংলা। মৎস্যমুখ।
আপেলের টুকরো সাদা রাখতে…
রোজ দুপুরে পাশের ফ্ল্যাটের ডোডাই স্কুল থেকে ফিরে চিলচিৎকার শুরু করে। আর কী! দুপুরে সিরিয়ালের দফারফা। দূর ছাই! উঁকি দিলুম। চিৎকারের কারণ টিফিনে আপেলের টুকরোগুলো খয়েরি রঙের হয়ে যায়। বন্ধুদের সামনে নাকি সেটা খেতে প্রেস্টিজ হ্যাম্পার হয় তার। বিরক্ত হয়ে বলেই ফেললুম আপেল কেটে একটু লেবুর রস ছড়িয়ে দিলেই তো সব ল্যাঠা চুকে যায়। যত্তসব!
ড্রাই ফ্রুট সুন্দর করে কাটতে…
বাড়িতে এসেছিল আমার মেয়ের গুজরাটি বন্ধু নিম্মি আর তার মা। ওদের মতো করেই বেশ কিছুটা ড্রাই ফ্রুট দিয়ে বানিয়েছিলাম ক্ষীর। চেটেপুটে খেয়ে নিম্মির মা হিন্দিতে বলে উঠল ড্রাই ফ্রুটগুলো এত ছোট করে কাটলেন কী করে? খালি বাটি হাতে নিয়ে বললুম,’এরপর থেকে ড্রাই ফ্রুট কাটার আগে ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখো, আর যে ছুরি দিয়ে কাটবে সেটা…
রূপোর জিনিস চকচকে করতে…
পাপড়ি বিয়েতে এক কলিগের থেকে দারুণ একটা রুপোর নেকলেস গিফট পেয়েছিল। সেদিন ফোন করে বলে,’জানো অ্যান্টি, সেই নেকলেসটা পুরো কালো হয়ে গেছে পড়ে থেকে থেকে। পরাই হল না।’ আমি বললাম,’চালধোয়া জলে আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখ! নতুনের মতো ঝকঝকে হয়ে যাবে। অমন কান্নাকাটি করার কী হয়েছে?’
গলায় কাঁটা ফুটলে…
ইলিশ মাছ পেয়েই হামলে পড়ল আমার বন্ধুর মেয়ে মিনি। আরে রয়ে সয়ে খা, কিন্তু তা হওয়ার কি জো আছে? ব্যস গলায় ফুটল কাঁটা। তারপরই শুরু হল অস্বস্তি। আমিও দিলাম ২ চামচ ভিনিগার খাইয়ে। তাতেই কাঁটা গলে উধাও। আর দেখেছ অমনি ফের মেয়ের ইলিশ মিশন শুরু।