সেদিন মিস্টার বোসের বাড়িতে ডিনারে গিয়ে লুচিতে তেল দেখে আমার মাথা ঘুরতে শুরু করেছিল। বাব্বা এরা ফিগারের কথা মোটেই ভাবে না। চুপিচুপি মিসেস বোসকে বলে এসেছি, লুচি ভাজার আগে ময়দার লেচিগুলো এয়ারটাইট পাত্রে ভরে ফ্রিজে রেখে দিও। তারপর বের করে ভাজলে তেল কম টানবে আর লুচি মুচমুচেও হবে।
Category: রীনা আন্টির টিপস
গলায় মাছের কাঁটা ফুটলে…
রোববার দুপুরে হঠাৎ অরিজিৎদার ফোন, ‘গলায় মাছের কাঁটা ফুটেছে, কিছুতেই নামছে না কাঁটা। আমিও আমার জাদু দেখালাম। বললাম, ‘একটা পাতিলেবু কেটে অর্ধেকটা চুষে নাও, দেখবে কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।’
মাশরুম টাটকা রাখতে…
ওপরের ফ্ল্যাটের মুমুদি সেদিন বলল, ‘রিনা দু’দিনের জন্য মেয়ের কাছে আসানসোল যাচ্ছি, ফ্রিজে বেশ খানিকটা মাশরুম রয়েছে। কিন্তু আমরা ফেরা পর্যন্ত যদি সেগুলো শুকিয়ে যায়।’ বললাম, ‘মুমুদি ওগুলো প্ল্যাস্টিক র্যাপ থেকে বের করে পেপার ব্যাগে মুড়ে রাখো, দু’দিনের তো ব্যাপার, তোমার মাশরুম ঠিক থাকবে। শোনো মাশরুমের তরকারি রাঁধলে আমাকে দিতে ভুলো না।’
ফুল টাটকা রাখতে…
আমার দেওর মৈনাকের আবার বড্ড টাটকা ফুলের বাতিক। ওর বউ দোলা তো রোজ ফুল আনে আর ফুলদানিতে রাখতে না রাখতেই টাটকা ফুলের দফারফা। আমি দেওরকে বললাম,’শোনো অ্যাসপিরিন জাতীয় ট্যাবলেট ফুলদানির জলে রেখে তার মধ্যে ফুল রেখে দাও।’ শুনে মৈনাক বলল,’বউদি ফ্যান্টাসটিক!’
প্রেশার কুকার পরিষ্কার করতে হলে…
সেদিন আমার নেমন্তন্ন ছিল স্কুলের বান্ধবী জয়তীর বাড়ি। রান্নাঘরে প্রেশার কুকারের অবস্থা দেখে গা ঘিনঘিন করে উঠল। বলেই ফেললাম, ‘প্রেশার কুকারে দু’কাপ জল ঢেলে তাতে লেবুর খোসা নিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে ২টো হুইসল বাজার পর গ্যাস থেকে নামিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।’
কেক নরম তৈরি করার উপায়…
ওপরের ফ্ল্যাটের বুল্টির মা কেক বানিয়ে দিয়ে গিয়েছিল। বাব্বা! এত শক্ত! খেতে গিয়ে দাঁত নড়ে গেল সব! মনে মনেই ভাবলাম, ‘কেন যে এক ফোঁটা গ্লিসারিন কেকের ব্যাটারে দিয়ে দেয় না এরা! তাহলে তো কেকটা সফট্ হত!’
ভাতে পোড়া গন্ধ?
বাপের বাড়ি গেছিলাম। কর্তা ভাত রাঁধতে গিয়ে ভাত পুড়িয়ে ঝামা করে বসে আছেন। যদিও ওপর দিকের ভাতগুলো ঠিকই ছিল, কিন্তু উৎকট গন্ধটা তো ছিলই। ফোনে বললাম, ‘শোনো একটা পাউরুটি ভাতের মধ্যে ১৫ মিনিট মতো রেখে তুলে নাও। পাউরুটিই পোড়া গন্ধ টেনে নেবে।’ বেচারি!
পিঁপড়ে গায়েব করতে হলে…
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন গোপা কাকিমার ঠাকুরঘরে বসে ফল কাটতে গিয়ে দেখি ডেয়ে পিঁপড়ের ছড়াছড়ি। কি উৎপাত রে বাবা! কাকিমাকে বললাম, ‘কাকিমা খানিকটা করে শসা কেটে রেখে দেবেন ঠাকুরঘরের কোণে, দেখবেন পিঁপড়েরা সব উধাও।’