আলু নামা !
কোথাও লেগে মাথা ফুলে গেলে আমরা বলি মাথায় আলু বেরিয়েছে । আবার খাবারের পাতে সব রকম সবজি থাকলেও সেখানে আলু না থাকলে ঠিক মন ভরে না! দেশী রান্না থেকে মোগলাই– আলু ছাড়া কেমন আলুনি লাগে! বিরিয়ানির আলু তো মশাই দেবভোগ্য জিনিষ । আলুর কদর জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক সব জায়গায় সমান । রবিবারের সকালে লুচি আর আলুরদম ছাড়া কি ভাবা যায়? দুপুরে মাংসের ঝোলের আলু না থাকলে পুরোটাই কেমন জানি বেস্বাদ ঠেকে । কখনও সময়ের অভাবে রান্না করা যায়নি, ঘরে আলু আছে! সেদ্ধ ভাত, অল্প ঘি বা মাখন দিয়ে আলু সেদ্ধ—আহ, অল্পেতে স্বাদ মেটে না এ স্বাদের ভাগ হবেনা । পেটরোগাদের জন্যে রয়েছে আলু দিয়ে সিঙ্গি মাছ বা মাগুর মাছের ঝোল! আলু নিয়ে আমাদের মধ্যেই একটা কেমন নস্টালজিক ব্যাপার আছে! স্কুলের ছুটির পরে আলুকাবলি আর বৃষ্টি হলেই আলুর চপ আর মুড়ি । আমরা হ্যাংলা হেঁশেল-ই বা কেন পিছিয়ে থাকি? তাই এই সংখ্যা সম্পূর্ণ আলু স্পেশাল । ভয় নেই কাঁচা খেতে বলছি না! ব্যাপার খানা হল আমরা সারা বছর বিভিন্ন খাবার চাখি কিন্তু আলুর যে একটা আলাদা কদর আছে সেটা আমরা প্রায়ই ভুলে যাই! তাইতো এইবার ঠিক করা হয়েছে, আলুই হবে আমাদের সরতাজ কা তাজ । আমাদের কথা বার্তা-তাই আলু নামা নিয়ে । স্বাদ বদলে আলুর জুড়ি মেলা ভার । ফ্রেঞ্চ ফ্রাই থেকে আমাদের বাংলা আলুভাজা !
আলু নিয়েই আমাদের বিশেষ সংখ্যা হ্যাংলা হেঁশেলে। ভাবছেন নিশ্চয়ই আলু দিয়ে ঘরোয়া রান্না ছাড়া আর কী-ই বা রান্না করা যায়? আসলে আমরা যারা হ্যাংলা তারা সব কিছু দিয়েই রান্না করতে পারি! আর গলাধকরণও করতে পারি! তা আমাদের শেফ দেবাশিস কুন্ডুও কিছু কম যান না! আলুর রান্নার রেসিপি নিয়ে বলতেই শিখিয়ে দিলেন ৫টা কেবল আলু দিয়ে রান্নার রেসিপি ।
একটা কথা জানিয়ে রাখি, এই আলু কিন্তু মোটেও দেশি নয়, বিদেশি। এখন অবশ্য দেশ-বিদেশের ভেদাভেদ ঘুচিয়ে আলু কিন্তু আমাদের। এবারের হ্যাংলায় দেশি আলুর রেসিপির পাশাপাশি থাকছে বিদেশী রান্নায় স্বদেশী আলু! উফফ জাস্ট ফাটাফাটি !! খাবার খাবো তার সঙ্গে উপযুক্ত পুষ্টিগুণ বুঝে তো খেতে হবে , না হলে সবটাই লস ! গায়ে কিছুই লাগবে না, আর যখন কথা হচ্ছে আলু নিয়ে, সুগারের রুগীদের আলু খাওয়া একদমই বারণ! কিন্তু আলু তো লোভনীয় ! আলু ছাড়া কি কোনও পদ মানা যায়? সেটা এই প্রবল বর্ষায় খিচুড়ির আলু বা আলুর চপ! তাই তো তারাতলা আইএইচএম-এর অধ্যাপক জানাচ্ছেন কোন আলু রান্নার জন্যে ভাল! ও বলতে ভুলে গেলাম, আরেকটা আকর্ষনীয় জিনিস আছে, সেটা হল, আলু নিয়ে গবেষণা !
আলু তো আমরা সবাই খাই, পশ্চিমবঙ্গের বেশির ভাগ বাজারে দু-ধরনের আলু সারা বছরই দেখা যায়, জ্যোতি আলু আর চন্দ্রমুখী আলু । এই দুই আলু ছাড়া জানা আছে কত রকমের আলুর চাষ হয় এখানে? তাও থাকছে আমাদের এই বিশেষ সংখ্যায় । আলুর খোসা ভাজা কখনও খেয়েছেন? ঠিক-ই শুনেছেন, খোসা ভাজা! এবার আলুর খোসা দিয়ে পাঁচটা জম্পেশ রেসিপিও আছে হ্যাংলার পাতায়। তারপর আলু দিয়ে তৈরি মিষ্টি থুড়ি ডেসার্ট ! শিবরাম চক্কোত্তি একবার আলু দিয়ে তৈরি পায়েসের নাম দিয়েছিলেন “আয়েশ”! তা ডেসার্ট-এর পদ গুলো চেখে দেখলে কেমন হয়? আর রে এখনও বাকি আছে! আলু নিয়ে তো আলুনামা হলো; সামনে খুশির ইদ ! একটা বড় পার্বণ ! হ্যাংলা হেঁশেল এই ইদে তাদের হেঁশেল বন্ধ রাখে কী করে? থাকছে, হ্যাংলা ক্লাবের সদস্যদের ১০ টা ইদ স্পেশাল রান্না! বিরিয়ানি থাকবে নাকি? মানে স্পেশাল বিরিয়ানি? তা জানতে গেলে তো এই সংখ্যার হ্যাংলা হেঁশেল কিনতেই হচ্ছে!
বাঙালির বারো মাসে চোদ্দ পাব্বন, আর এই চোদ্দ পাব্বনের আরেকটা বড় উৎসব হল রথ যাত্রা । এইদিনে মা দুগ্গার কাঠামোতে লাগবে মাটির প্রলেপ! রথযাত্রা নিয়ে আর বিশেষ করে পুরীর জগন্নাথ দেবের হেঁশেলের খবরও আপনারা জানতে পারবেন! অনিলাভ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন জগন্নাথদেবকে উৎসর্গ করা মহাভোগ নিয়ে বিশেষ পাতা ।
এখনও ভাবছেন? ভেবে লাভ নেই! বাজেট রান্না আর ভাল খাবারের রেসিপির জন্য কিনতেই হচ্ছে #হ্যাংলা হেঁশেল ।