বোনঝি রাই ডালে এমন ফোড়ন দিল যে হাঁচি আর কাশিতে আমাদের দুজনেরই দম ফুরোয় আর কী! বললাম, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দেওয়ার আগে তেলে এক চিমটি নুন ফেলে তারপর লঙ্কা দিস, দেখবি হাঁচি আর কাশি দুইয়ের কোনও অবকাশ নেই।
Category: রীনা আন্টির টিপস
হাতের হলদে দাগ তুলতে হলে…
দেওর মৈনাক হন্তদন্ত হয়ে ফোনে বলল, ‘বউদি একটা সমাধান চাই চটপট। দোলা নেই বাড়িতে, রান্না আমি করছি। কিন্তু হাত থেকে যে হলুদের দাগ যাচ্ছেই না। এভাবে কী করে অফিস যাব?’ বললাম, ‘উফ, এত টেনশন নিও না। আলুর খোসা হাতে ভালভাবে ঘষে হাত ধুয়ে ফেলো, হলুদের দাগ চলে যাবে।’ শুনে ফোনের ওপার থেকে মৈনাক বলল,…
মুগডালের রঙ সোনালি চাইলে…
গত রোববার আমার বাড়িতে এসেছলেন কর্তার অফিস কলিগ তন্ময়দার বউ অপর্ণা। খেতে বসে হঠাৎ অপর্ণার প্রশ্ন- ‘রিনা তোমার তৈরি ডাল এরকম সোনালি কেন হল, আমি ডাল রাঁধলে বেশির ভাগই কালচে হয়ে যায় ভাজতে গেলে।’ বললাম, ‘অপু, মুগ ডাল শুকনো খোলাতে ভেজে জলে ধুয়ে রান্না করো, দেখবে ডাল এরকম সোনালি রঙের হবে।’
কচুর শাকে গলা কুটকুট!
আমার পাশের ফ্ল্যাটের সহেলি সেদিন দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বলল একটা টিপস দাও না আন্টি, কচুর শাক রান্না করি, খাওয়ার পর গলা কুটকুট করে, এর থেকে বাঁচব কী করে! এদিকে মাঝে মধ্যেই সুকান্ত কচুর শাক এনে হাজির করে। আমি তো হেসেই খুন, বলে কী মেয়েটা। বললাম, ‘শোন এখন থেকে কচুর শাক রান্নার সময় একটু…
মাছের ঝোলের সুন্দর রঙ চাইলে…
আমার কর্তার জন্মদিনে খেতে এসে ওর কলিগ নবীনবাবুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা তো আমার হাতের রান্নার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, বলে– ‘রিনাদি এরকম সুন্দর রঙ হয়েছে মাছের ঝোলের, এর রহস্য কী, কোনও রংটং?’ ‘নারে বাবা, যখন তেল ফুটতে থাকে তখন তাতে এক চিমটে চিনি দিলেই এরকম সুন্দর লালচে রঙ আসবে, বুঝলে।’
নারকোলের দুধের পরিবর্তে কাজুবাদাম…
সেদিন দুপুরে আমার নিচের ফ্ল্যাটের মোনালিসা বউদি এসে হাজির, ‘ভাই রিনা গলদা চিংড়ি বানাব। নারকেল নেই বাড়িতে, নারকোলের দুধের পরিবর্তে কী দেওয়া যায় চিংড়িতে।’ বললাম, ‘কাজু কিনে আনো দোকান থেকে। কাজু বেটে নাও জল মিশিয়ে। আর গলদা চিংড়িতে দিয়ে দাও, দুধের স্বাদ কাজুতে মিটবে।’
ডিম ফেটে গেছে?
বাজার থেকে আমার কর্তা ডিম এনেছে, সবগুলো কীভাবে যেন ফেটে গেছে। এদিকে খানিকবাদে বাড়িতে আসবে আমার সেজদি আর ওর মেয়ে-জামাই তাদের ছানাপোনা নিয়ে। আমিও একটা পাত্রে জল নিয়ে তাতে কয়েক চামচ ভিনিগার মিশিয়ে সেই জলে ডিমগুলো সেদ্ধ করে ফেললাম। ডিম চমৎকার থাকল। দুপুরে ডিমের দোপেঁয়াজাও রেঁধে ফেললাম।
ফর্সা হতে চান?
সেদিন হঠাৎ আমার বান্ধবী গীতাঞ্জলির সঙ্গে দেখা। দেখামাত্রই চমকে গেলাম বেচারি কি কালোটাই না হয়েছে রোদে রোদে ঘুরে কাজ! বললাম, ‘এই শোন মুসুর ডাল বেটে সামান্য মধু মিশিয়ে হাতে-মুখে লাগাবি, দেখবি ট্যান এক সপ্তাহেই উধাও।’
ডিমের সাদা আর হলুদ অংশ আলাদা করুন সহজেই…
আমার ছোড়দির মেয়ে মুনাই ফোন করেছিল, ‘মাসিমণি আমি কিছুতেই ডিমের সাদা অংশ আর কুসুম আলাদা করতে পারি না, ডিমের কুসুমই শুধু লাগবে আমার, সাদা অংশ লাগবে না।’ বললাম, ‘শোন হাতের আঙুলগুলো ফাঁক ফাঁক করে একটা বাটির ওপরে রেখে হাতের তালুতে ডিমটা ফাটাস, দেখবি আঙুলের ফাঁক গলে সাদা অংশ বাটিতে পড়বে আর তোর হাতে থাকবে…
সহজে রসুনের খোসা ছাড়ান…
রসুনের খোসা কীভাবে সহজে ছাড়ানো যায়, তার জন্য সেদিন পাঞ্চালী ফোন করেছিল। বললাম, ‘মাইক্রোওভেনে রসুন রেখে এক মিনিট মতো চালিয়ে বের করে নিলেই দেখা যাবে রসুনের খোসা সহজেই আলগা হয়ে বেরিয়ে আসছে। পাঞ্চালী এতদিন সংসার করে এটাও জানে না, ন্যাকামি।
পনির নরম করতে হলে…
সেদিন আমার হাতের পনিরের পদ খেয়ে আমার দেওর মৈনাক তো বাক্যহারা! বলে কি ‘ফ্যান্টাস্টিক বৌদি, এত নরম পনির পেলে কোথায়?’ বলতেই হল, ‘পনিরটা স্পেশাল নয়, ওটা আমি ভাজার পর ঠাণ্ডা দুধে ডুবিয়ে রেখেছিলাম কিছুক্ষণ। তারপর রান্না করেছি, তাই এত নরম হয়েছে।’ শুনে মৈনাক বলল, ‘বৌদি তুমি অলওয়েজ গ্রেট!’
কাঁচা আনারস দ্রুত পাকাতে হলে…
আর বলবেন না, আমার কর্তার চোখে বোধহয় কিছু একটা হয়েছে। বাজার থেকে সেদিন ইয়া বড় সাইজের আনারস এনে হাজির। কিন্তু দেখেই বোঝা যাচ্ছে আনারসটা এক্কেবারে কাঁচা। পাকতে ঢের সময়। এমন লোককে নিয়ে কী করি বলুন তো! এত দাম দিয়ে শখ করে ফলটা এনেছে ফেলেও তো দেওয়া যাবে না। তো কি আর করা। আনারসের মুখটা মানে গাছের…
ট্যান থেকে বাঁচতে…
গত পরশু বাজারে অনন্যার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। বেচারা মার্কেটিং-এর কাজ করে। মুখ পুড়ে ঝামা হয়ে গেছে, রোদে রোদে। বলেই ফেললাম, ‘অনু শোন, রাতে বাড়ি ফিরে একদিন বাদে একদিন সারামুখ টমেটো চটকে লাগিয়ে নিবি, ট্যান উধাও হয়ে যাবে।’ শুনে ও বলল, থ্যাঙ্কস্।
ব্রণর হাত থেকে বাঁচতে…
আমার মেয়ের বান্ধবী অনুষ্কা সেদিন ফোন করেছিল, ‘আন্টি কপালের মাঝখানে একটা বিচ্ছিরি ব্রণ হয়েছে, সামনেই ছোটমামুর বিয়ে, ব্রণ তাড়ানোর ঘরোয়া টোটকা দাও না।’ বললাম, ‘শোন একটা রসুনের কোয়া নিয়ে ব্রণর ওপর থেঁতো করে লাগিয়ে রাখ। দেখবি ব্রণ দু’দিনে উধাও হয়ে যাবে।’
কালো ঠোঁটের রঙ ফিরে পেতে হলে…
আমার বান্ধবী মিতা, পেশায় সাংবাদিক। এত সিগারেট খায়! ঠোঁটটাই কেমন কালচে হয়ে গেছে। না বলে পারলাম না, ‘মিতা কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে সারা ঠোঁটে ঘষে নিবি। এরকম করলে ২ মাসেই ঠোঁটে লালচে ভাব ফিরবে; আর অত ধোঁয়া খাস না তো।’
কনুইয়ের কালো দাগ গায়েব করতে হলে…
আমার ভাশুরের ছেলে পাবলোর বিয়েতে দেখা হল আমার বড় ননদ লাবণ্যের সঙ্গে। খুব সুন্দর করে সেজেছে কিন্তু কনুইয়ের কালো ছোপ পুরো ব্যক্তিত্বের ১২টা বাজিয়ে দিচ্ছে। বললাম, ‘এই লাবু যখন অবসর পাবে লেবুর খোসায় চিনি লাগিয়ে কনুইয়ের দাগের ওপর ঘষবে, দেখবে কনুই আগের রঙ ফিরে পাবে।’