Blog
পোলাও-বিরিয়ানি
কিছুই যায় না ফেলা
খোসা-বীজ-ডাঁটি থেকে আগের দিনের বাসি এবার আপনার পাতে রাজত্ব করবে নতুন স্বাদে, কারণ কিছুই ফেলে দেওয়ার নয়। আমার আপনার সংসারের বাড়তি-ফেলনা জিনিস, আদাড়ে আবর্জনায় ফেলে না দিয়ে আদরে ভালবাসায় পেটপুজোর উপাচার হিসেবে ব্যবহার করার সাত সতেরো হ্যাংলাতে। কাঁচকলার খোসা, আপেলের চোকলা, কলার খোসা, পটলের বীজ, চিংড়ির মাথা, ছাঁট মাংস, মাশরুমের ডাঁটি দিয়ে স্বাদু ভোজ…
শীতে মাংস
মাটন-চিকেন তো আছেই, বাঙালির পাতে এখন বিফ-ল্যাম্ব-ডাক-টার্কি-পর্কের নিত্য ভোজনামচা। হ্যাংলার পাতাজুড়ে মাংসের মহাভোজ। মাছের পাশাপাশি মাংসও সমান সমাদৃত বাঙালির ডাইনিং রুমে। ঘরোয়া অনুষ্ঠানই হোক বা পার্টি-পার্বণ, মাটন-চিকেন মাস্ট। আর ফি রোববার তো মাংস-ভাত ছাড়া দ্বিপ্রাহরিক আহার অসম্পূর্ণ মধ্যবিত্ত বাঙালির। শীতকালের কুয়াশা আর হিমেল আবহে খাওয়াটা জম্পেশ হয় যদি পাতে থাকে মাটন-চিকেন। আর চিকেন-মাটন শুধু কেন?…
কেক কিংবা কাবাব
ডিসেম্বর মানেই পার্টি সিজন। আর ডিসেম্বরের রাত পার্টির আসরে কেক এবং কাবাব- দু’জনেই সমান জনপ্রিয়। হ্যাংলার পাতায় তাই কেক-কাবাব কড়চা। ডিসেম্বর মানে ফাঁটা ঠোঁটে কফির কাপে চুমুক। ডিসেম্বর মানে কমলালেবু আর র্যাকেট ঝলায় পুরে চিড়িয়াখানা থেকে মেলায় ঘুরপাক। ডিসেম্বর মানে পার্টি-ককটেল-কেক-কাবাব। হ্যাংলা জুড়ে তাই কেকের মিঠে আমেজ আর কাবাবের উষ্ণতা। ইচ্ছেমতো ডিসেম্বরকে উদযাপন করার সুলুক…
ভাইয়ের জন্য নতুন খাবার
ভাইয়ের কপালে দিলেন ফোঁটা, কিন্তু পাতে দেবেন কী? সেই উত্তরই এবার হ্যাংলা হেঁশেলের পাতায় পাতায়। থাকছে শেফ দেবাশিষ কুণ্ডুর সিম্পল অথচ পাঁচ ম্যাজিক টাচ। শহরের দুই পাঁচতারা হোটেলের দুই মহিলা শেফ জানালেন ভাইফোঁটায় ভাইয়ের পাতে পড়বে কী। থাকছে নোনতার কিছু স্বাদ। সঙ্গে হ্যাংলা ক্লাবের সদস্যাদের টোটকা তো আছেই। তিলোত্তমার পাঁচ তারকার ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার কাহিনিও থাকল এবারের…
পুজোর হ্যাংলামি
কথায় বলে সব পুজোর সেরা পুজো পেটপুজো। সুতরাং পুজোর হ্যাংলামি যে বাকি সারা বছরের হ্যাংলামিকে টেক্কা দেবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কলকাতার সেরা দশ শেফের রেসিপির পাশাপাশি, শেফ দেবাশিষ কুণ্ডু ও হ্যাংলা ক্লাবের সদস্যাদের দশটা করে পদ বিন্যাস হ্যাংলা জুড়ে। সঙ্গে থাকছে ভিনদেশি উপকরণে দেশি রান্নার প্রণালী, শহরের ৫ আবাসনের পুজোর পাঁচালি,…
প্লেটে ইণ্ডিয়া
নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধানের দেশে মিল কিন্তু এক জায়গাতেই…আসমুদ্র হিমাচল খেতে বড্ড ভালবাসে। গুজরাটের থেপলা, মহারাষ্ট্রের বড়া পাও, গোয়ার বেবিনকা, দক্ষিণের ইডলি-উত্তাপম, কাশ্মীরের রোগান জো, পাঞ্জাবের সর্ষো দা শাগ বা বাংলার ইলিশ-চিংড়ি সবেতেই বিদেশিদের ঘায়েল করতে পারে এই দেশ। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে হ্যাংলা হেঁশেলে থাকল দেশের খাবার। সঙ্গে শেফ দেবাশিষ কুণ্ডুর ১৫…
রান্নাঘরে ঘটি-বাঙাল
রান্নাঘরে সেরা কে—বাঙাল না ঘটি? এই দ্বন্দ্ব বাঙালির জীবনে চিরন্তন। আর দুই বাংলার এই স্বাদের লড়াই এবার হাজির হ্যাংলার কভার স্টোরিতে। এপার-ওপার বাংলার শেফদের রান্নার পাশাপাশি থাকছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান খেলোয়াড় গিন্নিদের হাতের ম্যাজিক। হাতা-খুন্তি নিয়ে ফুড ফাইটে নেমে পড়েছেন দুই বাংলার বাঙ্গাল-ঘটি মা-দিদিরাও।
গরম হাওয়া ঠান্ডা খাওয়া
হাঁসফাঁস করা গরম হাওয়ার সঙ্গে একমাত্র মোকাবিলা করতে পারে ঠান্ডা খাওয়া। তাই এবার গরমকে নক আউট করতে হ্যাংলার হাতিয়ার রায়তা, ফল, মকটেল, আইসক্রিম, হালকা চিকেন-মাটনের ব্রহ্মাস্ত্র। শহরের সেরা শেফ থেকে হ্যাংলা ক্লাবের সদস্য এবং পুষ্টিবিদের শানিয়ে নেওয়া ‘ঠান্ডা খাওয়া’র অস্ত্রে ‘গরম হাওয়া’র দাপট কী কমতে চলেছে জিভ, পেট আর পাকস্থলীতে!
মায়ের হাতের রান্না
মায়ের হাতের যে কোনও পদই অসাধারণ লাগে। আসলে মায়ের রেসিপিতে মিলেমিশে থাকে মেয়ের স্নেহ, ভালবাসা, মমতা, যত্ন আর সচেতনতার পাঁচফোড়ন। সে রান্নাই পৃথিবীর সেরা। প্রবাসীরা ঠিক কতটা মিস করেন মায়ের হাতের রান্নাকে? সেলেবদ্র স্মৃতিতে মায়ের সেরা পদবিন্যাস থেকে কলকাতার সাত শেফের মায়ের হাতের রান্নার সাতকাহন হ্যাংলার পাতায়। থাকছে মাদার্স ডে-তে মাকে রেঁধে খাওয়ানোর পাঁচ…
কমলাভোগ
উপকরণ :- ছানা (১ কাপ), কমলার খোসাকুচি (১/২ চা- চামচ), জরদা রঙ (সামান্য), ১টা মিষ্টি কমলালেবুর রস। সিরার জন্য :- ১ কাপ চিনি ও ২ কাপ পানি দিয়ে সিরা তৈরি করতে হবে। প্রণালী :- মিষ্টির সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ১০ মিনিট হাত দিয়ে ভালমতো মেখে মসৃণ করে নিন। তেলতেলে ভাব আসলে গোল গোল করে ছোট ছোট বল বানিয়ে…
পটেটো নকি উইথ শ্রিম্প অ্যান্ড অ্যাসপারগি
উপকরণঃ- আলু (১ কেজি), ময়দা (২০০ গ্রাম), ডিম (১টা, প্রয়োজন হলে নেবেন), নুন (স্বাদমতো)। সসের জন্যঃ- অ্যাসপারাগাস (৪০০ গ্রাম), চিংড়ি মাছ (মাঝারি সাইজের ৩৫০ গ্রাম), এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল (৬ চামচ), রসুন (৩ কোয়া), ফিশ স্টক (২ কাপ), হোয়াইট ওয়াইন (আধ কাপ), ক্রিম (৩০০ গ্রাম), পার্সলে। প্রণালীঃ- এই রান্নাটা দু’ধাপে করে নিয়ে একসঙ্গে পরিবেশন করতে…
সি-ফুড
সি ফুডের খোঁজে মুম্বই-চেন্নাই-ওড়িশঅ-গোয়া এমনকি কলকাতার স্বাদসাগর পরিক্রমা হ্যাংলা সাগর পাড়ের খাওয়ায়। পমফ্রেট থেকে কাঁকড়া, লবস্টার থেকে প্রন এসবই বাঙালির রোজকার ভোজনামচার অঙ্গ। কিন্তু স্যামন-সার্ডিন-স্কুইড-অক্টোপাসের লোভনীয় আমেজ এখন বাঙালির জিভের ডগায়। সমুদ্র মন্থন এখন বেশ জোরকদমে ভোজনবিলাসীর ধারাপাতে। সমুদ্র আর সামুদ্রিক মাছ বরাবরই বঙ্গজদের বড্ড পছন্দের। শুধুমাত্র রাজকন্যার সন্ধানেই নয় সাত সাগরের পারে তার অবাধ…
নিরামিষের নানা রকম!
নদীয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র দেবের সভাসদ ছিলেন গোপাল ভাঁড় ! মহারাজের কিপটে বিধবা পিসিকে নিরামিষ রান্নার মধ্যে চিংড়ি মাছ দেখিয়ে প্রচুর উপহার পেয়েছিলেন মহারাজের কাছ থেকে । কিন্তু আমাদের যেটা আলোচনার বিষয় সেটা কিন্তু গোপাল ভাঁড় না! সেটা হল গিয়ে নিরামিষ রান্না ! আমিষ আর নিরামিষ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে, কাকে আমিষ বলা যায় কোনটাকে…
অবাক জলপান:
খাবারের জনপ্রিয়তা আসে খাদ্য প্রণালী থেকে; অর্থাৎ Food Recipe. সেই কোন ত্রেতা যুগ থেকে আজকের কলি যুগ । খাবারের জনপ্রিয়তা বা রেসিপির জনপ্রিয়তা অম্লান । আগেকারদিনে অর্থাৎ আজ থেকে ২০০-৩০০ বছর আগের রান্নার রেসিপি সেই একই আছে কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কিছু কিছু পরিবর্তন এসেছে । আরও আধুনিক হয়েছে; মডার্ন হয়েছে তার রেসিপি…