বাংলা রান্না!
আচ্ছা বাঙালিয়ানার কি পরিবর্তন হয়েছে? না বাঙালিদের জিভের স্বাদের পরিবর্তন হয়েছে? বাঙালি রান্নাঘরে সেই চিরপরিচিত স্বাদ-গন্ধের কি আকাল দেখা দিচ্ছে? তবে কেন বাড়িতে অতিথি আসলে বাইরে থেকে খাবার আসে? কেন জামাইষষ্ঠী থেকে দূর্গা পুজোর খাওয়া-দাওয়া ক্ষেত্রে এখন অধুনা বাঙালি রেস্তোরাঁর দিকে ঝুঁকে পড়েছে? পাত পড়ছে রেস্তোরাঁর টেবলে? কিন্তু পাতে তো নতুন কিছু না, বাহারি কায়দায় পরিবেশন করা হচ্ছে বাঙালির চিরাচরিত রান্নাই! তবে ঘরে কেন রান্না হবে না? কেন অতিথিরা হোটেলে যাবে খেতে? তবে কি বাঙালি তার অতিথিকে খাওয়ানোর সনাতন পদ্ধতি ভুলে মেরে দিল? না কারণটা বোধহয় সেটা নয়, আসলে বাঙালির ঘরে এখন সময়ের প্রচুর অভাব! যে জাতের সুনাম আর দুর্নাম দুই-ই ছিল খাবারের প্রতি আজ তারাই রান্না-বান্নার পাট তুলে দিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁমুখী। এ তো বহুত না-ইনসাফি হ্যায়!! আর যেখানে আমরা মানে হ্যাংলা হেঁশেল আছে সেখানে এমন ধারার কাজ করার কোনও যুক্তি আছে? আপনারাই বলুন!! সেই কবে থেকে কতো দারুণ দারুণ রান্নার খবর আপনাদের দিয়ে আসছি! শুধু রান্নাই নয় সঙ্গে হেঁশেল সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের খবর! রান্না-বান্না যে চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দী থাকার জিনিস তা তো না! রান্না আজ নিছক প্রয়োজনের তাগিদে চাড্ডি ভাত, ডাল, আলু ডিম সেদ্ধ তাও নয়; এটা আজ একটা শিল্পও বটে! যে শিল্পের জন্ম আছে কিন্তু প্রাণস্তব্ধতা নেই! যুগে যুগে বিভিন্ন রীতি-নীতিতে নিজের অবয়ব বদলেছে কিন্তু পরিবর্তন করেনি তার মুখ্য বিষয়বস্তুকে । তাইতো হ্যাংলা হেঁশেল নিয়ে এসেছে সমস্ত রকম রান্নার জন্যে নতুন নতুন রান্নার পদ! বাঙালিরা যে খাদ্য রসিক আর খাইয়ে জাত হিসাবে তা সর্বজন বিদিত! দেশে বা বিদেশে যেখানেই যাক না কেন, খেতে বসে খাবারের সঙ্গে নো কম্প্রোমাইজ! নিজেদের দেশের মত বিদেশের মাটিতেও জমিয়ে চলে বাঙালি রান্নার বনেদিয়ানা । সেইসব রান্না যা এপার বাংলা ওপার বাংলাকে ভুলিয়ে দেয় কাঁটাতারের যন্ত্রণা । বাঙালি রান্নাই হয়ে ওঠে উৎসবের মুখ্য আকর্ষণ! হ্যাংলা হেঁশেল তাই পৃথিবীর সমস্ত বাঙালিদের বাঙালি রান্নার একমাত্র পথ প্রদর্শক! কচি কলাপাতায় ঘি-ভাত থেকে শুরু করে শুক্তো থেকে রেওয়াজি পাঁঠার কষা মাংস । আমসত্ত্ব দিয়ে ঘন চাটনি, রসগোল্লা, কালাকাঁদ, মিষ্টি দই আর একদম শেষে মিষ্টি পান দিয়ে সমাপ্তি হয় পেট পুজোর! আমাদের হ্যাংলা হেঁশেলে আছে তার-ই সার্থক সমাহার! শুদ্ধ বাঙালি রান্না- আমিষ থেকে নিরামিষ । আবার যে সে নিরামিষ না, একদম পেঁয়াজ, রসুনবর্জিত সুস্বাদু রকমারি পদ! একদম খাঁটি বাঙালি ইস্টাইলে । রান্নার পদ নিয়ে তো নানা কথা বলা হল, আমাদের সঙ্গে তো শুধু রান্নাই না সঙ্গে থাকে টুকুটাকি বিভিন্ন ধরনের কথা, আড্ডা তার সঙ্গে থাকে রেসিপি শেয়ার । আসল জিনিস তাই হল রান্নার রেসিপি । রেসিপি জানা থাকলে আর নুন চিনি মশলার দৌলতে তা হয়ে ওঠে সেরার সেরা । আমদের এই হ্যাংলা হেঁশেল-এ তাই সবাই হামলে পড়ে! আজ এই বিশ্বায়নের যুগে বাঙালি রান্নার মধ্যেও ঢুকে গেছে বিভিন্ন ফিউশন রান্না । আর্ন্তজাতিকতার মিশেলে সেই চির পরিচিত বাঙালি রান্না হয়ে ওঠে স্বাদে গুণে সেরা । গ্লোবালাইজেশানের পিঠে সওয়ার হয়ে বাঙালি রান্না জয় করেছে পৃথিবীর সব খাদ্য রসিকদের মন ।
আমাদের হ্যাংলা হেঁশেলে রান্নায় ছক্কা মারার জন্যে থাকে শেফ’স স্পেশাল রান্নার রেসিপি । পাঁচতারা হোটেলের রান্নার রেসিপি আর তার স্বাদ এখন বাঙালির হেঁশেলে । আর কি চাই? পাতায় পাতায় নানা রান্নার স্বাদ ।
রান্না নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট সেই সঙ্গে বাঙালির রান্নায় বিশ্বায়নের ছোঁয়া । পশ্চিমবঙ্গের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের ফুড ম্যাগাজিন #হ্যাংলা হেঁশেল । বই আর নেটের পাতায় বাঙালি রান্নার বিশ্বদর্শন ।