১০০ বাঙালি রান্না
পিৎজা-পাস্তা-চিজ অমলেটদের গুনে গুনে দশ গোল দিয়ে নাকি গো-হারান হারাতে পারে বাংলার হেঁশেলের রান্না– সেদিন বাসে এক ভদ্রলোকের মুখে এমনটাই শুনলাম। এবং বাকিদের অলক্ষ্যে কলার না তুলে পারলাম না। তবে বাকি দিনগুলোতে মোমো-রোল-সুপে-স্যালাডে মিশে থাকলেও প্যলা বৈশাখ অর্থাৎ নতুন বছরের প্রথম দিনে কিন্তু বাঙালির ভোজবিলাস মিশে থাকে বাঙালি স্বাদকাহনে। সেদিন লাঞ্চে-ডিনারে বঙ্গসন্তানরা শিকড়ের খোঁজে ভিড় জমান আশপাশের বাঙালি রেস্তোরাঁতে। পালাজো ছেড়ে মায়ের হলদে সবুজ ঢাকাই পরা অষ্টাদশীও সেদিন কচুপাতা চিংড়ি বা ঝাল গরগরে ঢাকাই মাটনে মজে যান নির্দ্বিধায়। এ বছর প্যলা পার্বণে সব বাঙালি বেশি করে শিকড়ের টান অনুভব করবেন। কারণ এবার হ্যাংলার মলাট কাহিনি ১০০ বাঙালি রান্না। হোটেল-রেস্তোরাঁ তো থাকলই বাকি দিনগুলোর জন্য, সেদিন নাহয় নিজেরাই তৈরি করুন বাঙালি ট্রাডিশনাল পদবিচিত্রা। নিরামিষ, মাছ, মাংস, মিষ্টি, বাংলাদেশের রান্নার পাশাপাশি ফিউশন ৫ পদ, শেফ দেবাশিষ কুণ্ডুর সহজ পাক প্রণালী এবং দশ শেফের রেসিপি থাকল আপনার জন্য। সকলকে জানাই শুভ নববর্ষ ১৪২৫।