Some Secrets About Hangla Hneshel
হ্যাংলা হেঁশেল নিয়ে কিছু কথা!!!!!!
খাদ্যরসিক নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর । সেই খুদে বয়স থেকে খাবারের সঙ্গে দোস্তি। বেবিফুড থেকে আমাদের ফুডজার্নি শুরু। তবে বড় হলে জিভের স্বাদকোরকগুলোয় পরিবর্তন ঘটে। তখন একটু ভাল স্বাদ না হলে মুখে রুচবে না!! ভালো খাবার আর ভালো স্বাদ আমাদের হ্যাংলা হেঁশেলের শেষ কথা। এখন সে তার আবাল্য কাল শেষ করে নব যুবার টি-শার্ট গায়ে গলিয়েছে। তাই তো দেশিয় থেকে আন্তর্জাতিক, সব খাবারের এর ওপর তার চোখ, মুড়িঘন্ট হোক বা জাপানের সুশি। পেস্ট্রি থেকে ডোনাট সব কিছু তে তার সমান নজর।
হ্যাংলা শব্দটির আক্ষরিক অর্থ, যে বা যারা খেতে ভালোবাসে বা পেটুক। বাংলা সাহিত্যের নানা ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সাহিত্যিক এই খাওয়া দাওয়ার বাপারটা কে বেশ ভাল রকম প্রাধান্য দিয়েছেন। এর মধ্যে শিবরাম চক্রবর্তী থেকে শুরু করে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় এর টেনিদা, প্রেমেন্দ্র মিত্র এর ঘনাদা উল্লেক্ষ্য। ২৩ নম্বর বনমালী নস্কর লেনের মেসে সারা সপ্তাহ জুড়েই থাকত বিভিন্ন স্বাদের রান্নার সুবাস। কেক থেকে কাটলেট, মাগুর মাছের ঝোল থেকে পাঁঠার মাংসের কালিয়া, হাঁসের মাংস। আমাদের হ্যাংলা হেঁশেলও সেই পথের যাত্রী। আর শুধু রান্না না, সঙ্গে রান্না নিয়ে আড্ডা আর কিছু টুকিটাকি কথা। রান্না করা যেমন একটা শিল্প আর যেখানে রান্না করা হয় সেটাও শিল্পের গর্ভগৃহ তো সেটা কেমন করে পরিষ্কার রাখবেন, রান্নার কিছু তাড়াতাড়ি প্রসেস সব কিছু নিয়েই আমাদের এই Hangla Hneshel, খেয়ে সুখ দেখেও শান্তি!!
Bengali Cooking :
বাঙালি রান্না নিয়ে বেশি কথা অতিকথনের পর্যায়ে চলে যায়। রান্নাকে শুধু রান্না ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখলে চলে না, রান্না জিনিসটা রক্তের মধ্যে থাকে। যখন সেটা প্যাশন হয়ে যায় তখন তার সঙ্গে মেশে বিভিন্ন ঘরানা। বাঙালি রান্না চিরকাল বিশ্ববাসীর কাছে সমীহ আদায় করে এসেছে। নিরামিষ থেকে আমিষ , আচার থেকে পাঁপড় সব কিছুতে সাবলীল গতি। ফ্রিজে খাবার না রেখে কেমন করে সংরক্ষণ করবেন সেটা আমাদের ঠাকুমা দিদিমারা ভাল জানতেন। আর সেই জন্যই হ্যাংলা হেঁশেল নিয়ে এসেছে পুরনো সেইসব দিনের কথা। যা আধুনিক সময়েও সমান কার্যকরী। যা মেনে চললে আখেরে লাভবান হবেন আপনারাই। হ্যাংলা হেঁশেলে সেইসব পুরনোদিনের স্মৃতিচারণ থাকল,অবশ্যই রান্না নিয়ে। আর সঙ্গে থাকুন আপনারা।