Seem Bijer Dal: কাতলা মাছের মাথা ও কুচো চিংড়ি দিয়ে শুকনো সিম বীজের ডাল
বাংলার হারিয়ে যাওয়া রান্নার মধ্যে অন্যত্তম হল সিম বীজের ডাল। আর সেই সিম বীজের ডাল যদি হয় কাতলা মাছের মাথা ও কুচো চিংড়ি দিয়ে তবে তার স্বাদ কয়েকগুন বেড়ে যায়। দেখে নিন বাংলার সেই অথেন্টিক রেসিপি তৈরী করার সমগ্র প্রণালী ও উপকরণ।
উপকরণঃ শুকনো সিম বিজ, কাতলা মাছের মাথা, কুচো চিংড়ি, সর্ষের তেল, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, গোটা শুকনো লঙ্কা, কাঁচা লঙ্কা , চিনি, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, গোটাগরম মশলা, গোটা জিরে, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, আদাবাটা, রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা, কাঁচা ও শুকনো লঙ্কা বাটা, তেজপাতা, গরমমশলা গুঁড়ো,ঘি , ধনেপাতা কুচি
প্রণালীঃ প্রথমে শুকনো সিম বীজ শুকনো খোলায় নেড়ে ১২-১৪ ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর বীজ গুলির খোসা ছাড়িয়ে, একটি প্রেসার কুকারে ৬-৭ টি সিটি দিয়ে ভালো করে সেদ্ধ করে নিন। সিমের বীজ গুলি সেদ্ধ হয়ে গেলে ঠান্ডা করে একটা মিক্সার জারে নিয়ে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর কড়াইতে সর্ষের তেল দিয়ে তাতে গোটাগরম মশলা, গোটা জিরে, তেজপাতা ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে তাতে একে একে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুনবাটা দিয়ে কিছুক্ষণ ভালো ভাবে নেড়েচেড়ে ভেজে নিন। ভাজা হলে একে একে লঙ্কাবাটা জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো,সামান্য শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো পরিমাণ মতো নুন, হলুদ ও কাশ্মিরী লাল লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে ভালো ভাবে কষিয়ে নিন। প্রয়োজনে সামান্য জল দিতে পারেন। মশলা থেকে তেল ছাড়তে শুরু করলে স্বাদমতো সামান্য চিনি দিন। মশলা কষাতে কষাতে অন্য একটি কড়াইতে সর্ষের তেল দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখা কাতলা মাছের মাথা ও কুচো চিংড়ি মাছে নুন হলুদ মাখিয়ে ভালো ভাবে ভেজে রাখুন। মশলা কষানো হলে পেষ্ট করা সিমের বীজ ও পরিমাণ মতো জল দিয়ে ফুটতে দিন। কিছুক্ষণ ফোটার পর চিংড়ি মাছ ও কাতলা মাছের মাথাটা ভেঙে দিয়ে দিন। ওপর থেকে ঘি, ধনেপাত কুচি ও গরমমশলা গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে নিলেই তরী হয়ে যাবে কাতলা মাছের মাথা ও কুচো চিংড়ি দিয়ে শুকনো সিম বিজের ডাল।
রেসিপিটি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে ছেন হ্যাংলার সদস্য গার্গী দাস ঘোষ।