Recapitulate your Memories with Hangla Hneshel
Kya Swad hai Zindagi Me!!!
মনে পড়ে সেই বিজ্ঞাপনটা? পছন্দের ক্রিকেটার ছয় মেরে জিতে যাওয়ার পর মহিলা অনুরাগীর পুলিশের হাতের তলা দিয়ে চকোলেট নিয়ে মাঠে নেমে নাচ আর তার সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে ‘কেয়া স্বাদ হায় জিন্দেগি মে’!!!!!!!!!!!! বা দীপাবলির সময় ‘কুছ মিঠা হো জায়ে’!!!!!!
মিষ্টি নিয়ে পৃথিবীর সব দেশ সব সময় পাগল। সেই কোন ঐতিহাসিক যুগ থেকে পৃথিবীতে মিষ্টির আবির্ভাব। মিষ্টির মহিমা এমন যে স্বয়ং গৌতম বুদ্ধদেবও সুজাতার আনা পায়েস খেয়ে পরম বোধি লাভ করেছিলেন। মিষ্টি ভালবাসেনা কে? প্রশ্নটা জটিল হয়ে যাবে। আবার অনেকে রেগেও যাবে!! কী বোকা বোকা কথা মশায়? মাথা ঠিক আছে তো? আসলে মিষ্টি এমন একটা বস্তু যার সেন্টিমেন্টটাই আলাদা। সে গাজরের হালুয়া হোক বা পাতি বাঙালি রসগোল্লা!! সব্বার চাই। মন খারাপ করলে মিষ্টি খেয়ে অনেকে মন ভাল হয়ে যায়। এমনকি শুধু পেট ভরানোর জন্যেও অনেকে মিষ্টি খান। নেমন্তন্ন বাড়ি গিয়ে আচ্ছা আচ্ছা খাইয়েরা মিষ্টি খাওয়ার প্রতিযোগিতা করে থাকেন। ভাল খাওয়ার পর শেষ পাতে মিষ্টি না হলে খাওয়াটা যেন সম্পূর্ণই হয় না। অতিথির বাড়ি আসা থেকে থেকে পরীক্ষায় ভাল রেজাল্টে মিষ্টিমুখ – এ চল তো সেই কবে থেকে চলে আসছে।এ প্রথা তো চিরন্তন। পুজোতে দই মিষ্টি দেওয়া না হলে সেই পুজো কখনওই সিদ্ধ হয় না। আর পরমান্ন তো দেবভোগ্য বিষয়। স্কুলের সরস্বতী পুজোর খাওয়াতে পাল্লা দিয়ে কে কত রসগোল্লা খেতে পারে সেই নস্টালজিয়া আজও অমলিন। আর নববর্ষে হাল খাতার মিষ্টি মুখ আজও সমানভাবে গ্রহণীয়।
রসগোল্লার আদি জনক কে? সেই তর্ক রেখে টিনের রসগোল্লার কালাপানি পার, যার মাধ্যমে স্বদেশ-বিদেশ একাকার। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিতে গোলাপ এসেন্স দেওয়া চিটচিটে তিলের লজেন্সের স্মৃতিচারণ, সে হালফিলের মিষ্টি দেখে লজ্জায় পালিয়ে গেছে। হ্যাংলা হেঁশেলের সঙ্গে আপনাদের যে মিষ্টি সম্পর্ক সে আমরা সবাই জানি। আর তাই তো আমাদের হেঁশেল আপনাদের বিমুখ করাতে নারাজ । এখন শীতের সময় মানে আরও ভালো মিষ্টির সময়। এমনি মিষ্টি তো আছেই সেইসঙ্গে এ সময়ের শাকসবজিও বেশ মিষ্টি স্বাদের। এই সময় বিখ্যাত নলেন গুড়। ভাল করে জ্বাল দিয়ে, কাঠের হাত দিয়ে পাক দিয়ে তৈরি হয় নলেন গুড় । গুড়ের গন্ধে ম ম করে চারিদিক । আর সেই নলেন গুড় দিয়েই আছে জিভে জল আনা সব Sweet Recipes। তবে শুধু নলেন গুড়েই সীমাবদ্ধ কেন? আন্তর্জাতিকতার মিশেলে সমস্ত মিষ্টিতেই এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। আমাদের মিষ্টি যেমন ছানা দিয়ে, ভেজে বানানো হচ্ছে, সেখানে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের পেস্ট্রি, সুফলে, টার্ট বানানোর রেসিপি ও Hangla Hneshel দিচ্ছে আপনাদের । Butterscotch থেকে Black Forest সব কিছুর রেসিপি এই মলাটে। আমরা বুঝি, আট থেকে আশি মিষ্টির সঙ্গে দোস্তি। আর মিষ্টির এই সুমহান ঐতিহ্যে একে একে যোগ হয়েছে পরীক্ষামূলক নানান Dessert Recipe। সম্রাট অশোকের প্রিয় মোরব্বা আর পায়েস থেকে সুলতানি – মুঘল যুগের ফিরনি, মতিচুরের লাড্ডু, হালুয়া, বেসন দিয়ে তৈরি ঘিয়ে ভাজা বেসন লাড্ডু, কেশর বাদাম ফিরনি। মিষ্টির ক্ষেত্রে বিপ্লবটা শুরু হয়ে ছিল মূলত মোঘল যুগ থেকেই। মোঘল ঘরানার সঙ্গে মিশলো রাজপুত ঘরানা আর অন্য দিক থেকে এলো তুর্ক-পারসিক প্রভাব। মেওয়া কচুরি তারই নিদর্শন। আবার ইংল্যান্ড এর রানি ভিক্টোরিয়ার ভোজ সভায় পরিবেশিত ফ্রুট কাস্টার্ড মিষ্টির সেই রাজকীয় মহিমাকেই প্রতিষ্ঠা করেছে।
হ্যাংলা হেঁশেল সেই সব অথেনটিক মিষ্টির রেসিপির সুলুক সন্ধান নিয়ে হাজির। নানা বর্ণে স্বাদে গন্ধে…
হ্যাংলা হেঁশেলের পক্ষ থেকে থাকলো মিষ্টি নিয়ে মিষ্টি কথা আর তার সাথে রকমারি মিষ্টির রেসিপি। সঙ্গে আপনারা । সত্যি, ‘কেয়া স্বাদ হায় জিন্দেগি মে!!’