Description
স্বাদ পাকে বাঁধা
বিয়ের মত পবিত্র বন্ধনে আনন্দের শরিক হতে যাঁরা আসেন বিবাহ বাসরে, তারা কিন্তু না খেয়ে কখনোই গাত্রোত্থান করেন না। এটাই ভারতীয় বিয়ের এক এবং অদ্বিতীয় কালচার। আর বিয়েবাড়ির ভোজ মানে তো এলাহি ব্যাপার। আগেকার দিনে তো রীতিমতো বাজি ধরে মাছ, মাংস, দই, রসগোল্লা খেয়ে কন্যার বাপ কাকাকে ফতুর করে দিতেন। তবে পাড়ার কুসুম বা টেঁপির বিয়েতে কোমড়ে গামছা বেঁধে লুচি, আলুর দম, আলু পটলের ছক্কা, খাসির মাংস, চিংড়ির মালাইকারি,দরবেশ পরিবেশন করতেন, একদা টেঁপিকে প্রেম নিবেদন করা পাড়ার বাবলু, লাল্টুরা। এই না হলে বিয়েবাড়ি! আইবুড়ো ভাত, জল সইতে যাওয়া,হলুদ কোটা, আনন্দ নাড়ু বানানো, শ্রী তৈরি, পিঁড়ি আলপনা, তত্ত্ব সাজানো, দধিমঙ্গল, গায়ে হলুদ, শুভদৃষ্টি, মালা বদল, সপ্তপদী, বাসর জাগা, বাসি বিয়ে, কুশণ্ডিকা, কনে বিদায়, বধূ বরণ, ভাত কাপড়, বৌভাত, ফুলশয্যা….কত নিয়ম, কত আয়োজন, কত আনন্দ। সানাইয়ের রোশনচৌকি আর ঝলমলে আলোর রোশনাই জুড়ে সঙ্গতে থাকে লুচি আর ফিশ ফ্রাই ভাজার সৌরভ। সঙ্গে রজনীগন্ধার সুরভী তো উপরি পাওনা।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টেছে বিয়ের আনুষ্ঠানিক অনুষঙ্গ। মেহেন্দি, সঙ্গীত, ব্যাচেলরস পার্টি, ককটেল পার্টির মতো নানা আধুনিক কায়দার সমাবেশ ঘটেছে বিয়ের অনুষ্ঠানে। কিন্তু তাতে কি, বিয়ে বাড়ির ভোজবিলাস এতটুকু কমে যায়নি। বরঞ্চ বেড়েছে। স্টার্টারে ফুচকার ফুলটস তো ছিলই, তার সঙ্গে জুড়েছে পাস্তা, কাবাব এবং টিটবিট সব আইটেম।
এখনো যতই আমরা ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে চলি না কেন, আজকের দিনেও বাঙালির বিয়েতে কবজি ডুবিয়ে মাছ…মিষ্টি & More…
Reviews
There are no reviews yet.