Mulo Palang Chindi Recipe : মুলো দিয়ে পালং চিংড়ি
একসময় অঙ্গ, বঙ্গ ও কলিঙ্গ ছিল অবিভক্ত বাংলা। সময়ের প্রবাহে পরবর্তী সময়ে তিনটি পৃথক রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি পায় এই বিশালাকার ভূ-খন্ড। অনেক ক্ষেত্রেই এই তিনটি রাজ্যের আচার, পোশাকের পাশাপাশি খাদ্য তালিকাতেও অনেক সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
তেমনই একটি পদ মুলো দিয়ে পালং চিংড়ি। যা আসামের সাথে সাথে বাংলার মানুষের কাছেও অতি প্রিয়। পদের নামে সাদৃশ্য থাকলেও রন্ধন প্রণালী ও স্বাদের ক্ষেত্রে কিছু পার্থক্য রয়েছে। এই বহুল সমাদৃত পদটিই শেখালেন শেফ গৌরব সাহা।
উপকরণঃ
পালং শাক
কড়াইশুঁটি
মুলো
চিংড়ি
কাঁচালঙ্কা
গরম মশলা
বড়ি
সজনে ডাঁটা
ধনে গুঁড়ো
জিরে গুঁড়ো
প্রণালীঃ
প্রথমে নন-স্টিক প্যানে ২ টেবিল চামচ মতো সরষের তেল দিন। তেল খানিক গরম হলে ধুয়ে রাখা চিংড়ি মাছগুলিতে সামান্য নুন দিয়ে হালকা করে ভেজে নিন। এবার তাতে লম্বা করে কেটে রাখা সামান্য সেদ্ধ করা মুলো দিয়েও হালকা ভেজে নিন। মুলো ভাজা হলে তাতে আগে থেকে সেদ্ধ করা সজনে ডাঁটাগুলো দিয়ে সামান্য ভাজুন। এবার এই পুরো মিশ্রণটি একটি আলদা পাত্রে নামিয়ে রাখুন।
এবার অন্য একটি কড়াইতে পরিমাণ মতো সরষের তেল দিন। তেল সামান্য গরম হলে তাতে বড়ি ভেজে তুলে রাখুন। এবার কড়াইতে আরো সামান্য পরিমাণ তেল দিন। গরম হলে তাতে দিন আধ চামচ রসুনের কুচি, আধ চামচ আদার কুচি, ২ চামচ পেঁয়াজ কুচি এবং ২ চামচ লঙ্কা কুচি। মশলা থেকে সুগন্ধ আসতে শুরু করলে সেদ্ধ করা পালং শাকের পেস্ট দিন। সামান্য নাড়াচাড়া করে এতে ২ চামচ ধনে গুঁড়ো, আধ চামচ জিরে গুঁড়ো ও স্বাদ মতো নুন দিয়ে তেল না ছাড়া পর্যন্ত ভাল করে কশে নিন। এতে মেশান ধুয়ে কেটে রাখা পালং শাক। পালং শাকের জল শুকিয়ে আসলে ভেজে রাখা চিংড়ি, মুলো ও সজনে ডাঁটার মিশ্রণটি দিয়ে দিন। প্রয়োজনে সামান্য জল মিশিয়ে নিন। এরপর সেদ্ধ করা কড়াইশুঁটি দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। ২-৩ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ভেজে রাখা বড়ি মিশিয়ে দিন। এবং উপর থেকে সামান্য চিনি দিয়ে ১-২ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর উপর থেকে সামান্য সরষের তেল ছড়িয়ে দিলেই তৈরি মুলো দিয়ে পালং চিংড়ি।
শীতের দিনের দুপুরে গরম গরম ভাতের সাথে জমে যাবে বাংলার প্রতিবেশি রাজ্যের এই পদ।