আজ ছোট্ট আয়ুষের আট জন্মদিন। প্রত্যেক বছরের থেকে এবারের জন্মদিনটা একদম আলাদা। কোরোনার করাল থাবার থেকে বাঁচতে সবাই ঘর বন্দী। তাই বাবা মা আর ঠাম্মি ছাড়া এবারের বার্থডে পার্টিতে আর কারো আসা সম্ভব নয়। মাসিমণি মেশাই, পিসি, মামা মামিয়া, ছোটো কাকু কাকিমা, মুনাই দিদি, জন্টি, রোহন দাদা, দিদুন দাদান, শিল্পা আন্টি, আনন্দ আঙ্কেল আর বন্ধুদের দল সকলেই হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলে বার্থডে উইশ করেছেন। কিন্তু, ছোট্ট আয়ুষের মন মানতেই চাইছে না। বাবার আনা খেলনা, জামা, চকোলেট, গিফ্ট — সব কিছুই ফিকে মনে হচ্ছে। মা আর বাবা নানা ভাবে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ। মন খারাপ নিয়েই কেক কেটে বাবার আনা রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি নিয়ে খেলা শুরু করলো আয়ুষ। এর মধ্যেই ঠাম্মি একটা অনবদ্য পদ “মাছের গুলি মেশানো চিংড়ি পোলাও”। যেটা চেটেপুটে খেয়ে আয়ুষের মন খারাপ সবটুকু না কমলেও অনেকটা কমে গেলো। ছোটবেলায় ওর বাবার মন খারাপ হলে নাকি ঠাম্মি এই পোলাও রান্না করে খাওয়াতেন। বাবার মন খারাপও কমে যেতো সঙ্গে সঙ্গেই।
উপকরণঃ- গোবিন্দভোগ চাল (৫০০ গ্রাম), ছোট চিংড়ি (২ কাপ), পোনা মাছ (২০০ গ্রাম), কিশমিশ, ঘি, সাদা তেল, লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, গরম মশলা গুঁড়ো, চিনি, নুন (স্বাদমতো), পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি ও আদা।
প্রণালীঃ- প্রথমে গোবিন্দভোগ চাল ধুয়ে তাতে হলুদ ভাল করে মেখে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। চিংড়িগুলো ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবার একটি ননস্টিক কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে তাতে লবঙ্গ, দারচিনি ও এলাচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে তাতে চিংড়িগুলো দিয়ে ভেজে তার মধ্যে চালগুলো কড়াইতে দিয়ে ভাল করে ভেজে তাতে পরিমাণমতো নুন ও চিনি দিয়ে নাড়াচাড়া করে তাতে ৩ চামচ ভাল ঘি ও জল দিয়ে গ্যাস সিমে করে রাখতে হবে। খানিকটা হয়ে যাওয়ার পর কিশমিশ দিয়ে নাড়াচাড়া করে ঢাকা দিতে হবে।
মাছের গুলির জন্যঃ- পোনা মাছের পেটি নিয়ে ভাল করে ভেজে নিয়ে কাঁটা বার করে নিতে হবে। এবার একটি পাত্রে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি ও আদা কুচি দিয়ে তাতে মাছটা দিয়ে নুন, অল্প চিনি ও অল্প ময়দা দিয়ে ভাল করে মেখে ছোট ছোট বলের আকারে গড়ে নিতে হবে। এবার আরেকটা প্যানে তেল গরম করে বলগুলো ভেজে নিতে হবে। পোলাওয়ের গ্যাস বন্ধ করে তাতে বলগুলো হামকাভাবে মিশিয়ে ওপর থেকে গরম মশলা ও সামান্য ঘি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।