Hangla Pat Pere Poila Parban : হ্যাংলার পাত পেড়ে পয়লা পার্বণ ১৪৩১
বাংলা সন ১৪৩১-এর প্রথম দিনেই বর্ষবরণের আনন্দকে সকলের সাথে ভাগ করে নিতে এই প্রথমবার হ্যাংলা হেঁশেল ও শ্রাচী গ্রুপের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল এক বিশেষ ভোজপার্বণ -“পাত পেড়ে পয়লা পার্বণ”। পাথুরিয়াঘাটার খেলাৎ ভবনে এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল বাংলার সাবেকি খাবারের সম্ভার, বাংলা গান ও বৈঠকী আড্ডার আসর।
প্রথম উদ্যোগ হলেও এই আনন্দ উৎসবে উপস্থিত ছিলেন নামী শিল্পী থেকে শিল্পপতি ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষ।
আবহ,সাজসজ্জা থেকে মেনু সর্বত্রই বাঙালিয়ানার ছাপ ছিল স্পষ্ট। এদিনের মূল আকর্ষণ ছিল পান্তাভাত। সঙ্গে ছিল হাতে মাখা আলুভর্তা । ছিল সাদা ভাত, ঘি, বড়ি ভাজা, দুধ শুক্তো, রাজশাহী ডাল। এঁচোড় চিংড়ি, কাতলার দই ব্যঞ্জন, রোববারের মাটন,আমের চাটনি, নবদ্বীপের ক্ষীরদই ওমিষ্টিমুখের আয়োজন। শেষে মিষ্টি পান এবং গন্ধরাজ তক্র দিয়ে এই রসনা বিলাসের ইতি টানা হয়েছিল।একসঙ্গে পাত পেড়ে খাওয়ার সেই সাবেক বাঙালি রীতি মন ছুঁয়ে যায়।
হ্যাংলা হেঁশেলের এই চাঁদের হাটে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু বিশিষ্টজন– হীরক ভট্টাচার্য (এম ডি,শালিমার), নীতা ও নমিত বাজোরিয়া (কর্ণধার, কুচিনা), অরিন্দম চক্রবর্তী ( কনটেন্ট হেড, ফিভার এফ এম) কৌস্তভ দত্ত (পেটিএম) , সঞ্জীব গাঙ্গুলি (সিনিয়ার ম্যানেজার প্রজেক্ট, শ্রাচী গ্রুপ), শুভশ্রী গাঙ্গুলি ( অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার মার্কেটিং, শ্রাচী গ্রুপ)।
সব মিলিয়ে বছরের প্রথম দিনেই উত্তর কলকাতার বনেদিয়ানা কে সাক্ষী রেখে গানে,গল্পে, আড্ডায় স্মরণীয় হয়ে রইলো হ্যাংলার পাত পেড়ে পয়লা পার্বণ।
এখানেই শেষ নয় এই প্রজন্মের জনপ্রিয় শিল্পীদের কন্ঠ জুড়েও ছিল বাংলার পুরাতনী, টপ্পা, লোকসঙ্গীত, আধুনিক বাংলা গানের মূর্ছনা। ইন্দ্রনীল দত্ত, পিয়ালী পাল , অনিন্দ্য,অভীক দত্ত, শিঞ্জিনী চক্রবর্তী, ঋষি চক্রবর্তী, প্রত্যুষা সরকার, অনুভব সেনগুপ্ত, সুদীপ্ত গাইন, অনুষ্কা চক্রবর্ত্তীরা অনন্যতার ছাপ রেখেছেন তাদের পরিশীলিত উপস্থাপনায়।
সব মিলিয়ে বছরের প্রথম দিনেই উত্তর কলকাতার বনেদিয়ানা কে সাক্ষী রেখে গানে,গল্পে, আড্ডায় স্মরণীয় হয়ে রইলো হ্যাংলার পাত পেড়ে পয়লা পার্বণ।