Hangla Hneshel Picnic Menu
হ্যাংলা পিকনিক মেনু :
-‘বিশু সক্কাল ৯ টাতে কিন্তু কচুরি আর আলুর দম চাই বস না হলে তোকে ভেজে দেবো। পাঁঠার দোকানে বলা হয়েছে?’
-‘দাদা পাঁঠার তো কোনো দোকান নেই!!!!’
-‘আরে ইসমাইলের দোকান টা রে গাধা!!!’
-‘ও হ্যাঁ সে বলে দিয়েছি।’
-‘আর আমাদের হারান ঠাকুর কে?’
-‘সে সব বলা কমপ্লিট দাদা!’
-‘বাঁচা গেল! এখন একটু পিকনিকের মেনুটা ভালো করে দেখা যাক!’
ও আপনারাও তো আছেন আমাদের সঙ্গে, হ্যাংলা কেলাবের পিকনিক এ। পিকনিক বলে কতা আর সেখানে হৈ হুল্লোড় হবে না, তা কখনও হতে পারে? আর পিকনিক মানেই তো কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া। সেই সকাল থেকেই লুচি,আলুরদম, ছোলার ডাল, চিকেন পকোড়া। আর দুপুরের পেটপূর্তিতে সরু চালের ভাত সঙ্গে রেওয়াজি খাসির মাংস। হ্যাংলা হেঁশেল তাই নিয়ে এসেছে ‘পিকনিকের নতুন মেনু’। আর তার সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেওয়ার ঠিকানা আমাদের হ্যাংলা ক্লাবে। হ্যাংলাদের পিকনিক আর খাওয়া যদি জমিয়ে না হয়, কেমন করে চলবে? তাই আগে ভাগেই জানিয়ে রাখলাম। পড়তে ভুলবেন না যেন।
হ্যাংলা বাঙালিয়ানা:
বঙ্গ জীবনের অঙ্গ হল খাওয়া দাওয়া। সেটা ভাত-শুক্তো-ডাল আর লাবড়া হোক বা খিচুড়ি ডিম আর পাঁপড় ভাজা। গরমকালে কাঁচা আমের টক বা সর্ষে দিয়ে আমের টক ঝোল, ডালের মধ্যে আম দিয়ে টক ডাল আবার বর্ষা কালে ইলিশ মাছের ভাজা সহযোগে খিচুড়ি আর শেষ পাতে আম দই। রবিবারের দুপুরে খাসির মাংস আর ভাত না হলে ঠিক জমে না ব্যাপারটা। বাঙালিরা চিরকাল খেতে আর খাওয়াতে বড্ড ভালবাসে তবে যদি সেই বাঙালি টেনিদার একাদশী পিসে হয় তবে তা চাপের। হ্যাংলা হেঁশেলে পৃথিবীর সব বাঙালিরা স্বাগত। বাঙালিয়ানার সঙ্গে আন্তর্জাতিকতার মিশলে আর তার সঙ্গে খাওয়া দাওয়ার, আড্ডার পরিবেশটা অনন্য!