হ্যাংলার মৎস্যমুখ:
“দাদা বিনা পাসপোর্ট-এর মাছ নিয়ে যান, সস্তায় পুষ্টিকর, জলের দামে জলের মাছ” । যা বাব্বা!! মাছ তো জলে থাকে!! তা জলের মাছ আলাদা করে কী হচ্ছে? “দাদা এ হল পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া অনুপ্রবেশকারী মাছ !! নিয়ে যান, ঠকবেন না” । সক্কাল সক্কাল নিবারণের বিনা পাসপোর্ট-এর মাছের দোকানে লম্বা লাইন । আসলে ব্যাপার হল হ্যাংলাদের পেটপুজো । তাই সাত সকালে উঠেই মাছের মহোৎসবে সামিল হতে আঁশটে গন্ধের ব্যাগ নিয়ে বাজারে । কিন্তু রাঁধবে কে? এত লোকের রান্না!! আর শুধু রান্না নয় মেনুও চাই, গিয়ে ধরলাম শেফ দেবাশিস কুণ্ডুকে ! বাতলে দিলেন এক সে বড়কড় এক মাছের রেসিপি। লেবুর আচারে মাছ কখনও খেয়েছেন? না খেলে এবার খেতেই হবে। সঙ্গে শেফ দেবাশিসের আরও চার রেসিপি। আছে পাসপোর্ট নেওয়া মাছ আর পাসপোর্ট ছাড়া মাছের মানে এপার বাংলা আর ওপার বাংলার মাছের এক ডজন রেসিপি । আর সেই রেসিপির সঙ্গে থাকবে আরও কিছু fusion fish-dish । রোজকার ঝাল,ঝোল কালিয়া ছাড়াও যে মাছের বিভিন্ন পদ বানানো যায় তার সুলুক সন্ধান থাকছে এই সংখ্যায় । মাছের সঙ্গে আমাদের মানে হ্যাংলাদের যে আত্মিক সম্পর্ক সেই সম্পর্ককে জোরদার করতে আমাদের এই সংখ্যা । কথায় আছে, মাছে ভাতে বাঙালি। যেখানেই যাওয়া হোক না কেন, মাছ ভাত তার লাগবেই । আবার হ্যাংলারাও যে কত রকমের হয় তার ইয়োত্তা নেই। মাছ খাবো কিন্তু কাঁটা থাকবে না । হাজার বায়ানাক্কা ! তা আর কি করা যাবে? আমাদের হেঁশেলে সবার সব আবদার সমান ভাবে মেটানো হয়; আর সেই আবদারেই কাঁটা ছাড়া মাছ দিয়ে আছে বিভিন্ন পদ । মাছ নিয়ে নানা রেসিপি তো হল, তবে সেরার সেরা মায়ের হাতের মাছের রান্না । কালোজিরে দিয়ে মাছের ঝোল থেকে শুরু করে ধনেপাতা দিয়ে মাছের ঝাল বা টমেটো দিয়ে টক ঝাল মাছের কালিয়া- মায়ের হাতের রান্নার স্বাদই আলাদা । সেইসব হারিয়ে যাওয়া মাছের পদও আছে হ্যাংলাদের জন্যে এই মলাটে । রেঁধেছেন মা-কাকিমারা।
তবে এটুকু রান্নার মধ্যেই সব কিছু সীমাবদ্ধ নয়, আছে আরো অনেক কিছু !
শীতকালে বিয়ে বাড়ি লেগেই থাকে। বিয়ে বাড়ির রান্না ক্যাটারারের হাতে দিয়েই নিশ্চিন্ত ! কিন্তু সেই বাঁধা গতের মেনু না খাইয়ে যদি কিছু অন্যরকম খাওয়ানো যায় অতিথিদের তাহলে নেহাত মন্দ হয় না। কিন্তু সেই অন্যরকমটা কী? উপায় বাতলে দিলেন শহরের সেরা পাঁচ ক্যাটারারের মালিক। আর বিয়ে বাড়ির দুপুরের খাবার, রাতের খাবার নিয়ে নো চিন্তা। থাকছে বিয়েবাড়ির রেসিপি। এসব খাবার বিয়েবাড়ির মেনুকার্ডে যেমন থাকতে পারে তেমনি নতুন বউয়ের ইচ্ছে হলে এগুলো বানিয়ে পরিবেশন করতে পারে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের পাতে। হ্যাংলা হেঁশেল সাক্ষী থাকবে সেইসব আনন্দ মুখর মূহুর্তের । খাবারের স্বাদ নতুন সম্পর্কগুলোয় এক অন্য মাত্রা এনে দিতে বাধ্য।
সামনে ১৩-১৪ই ফেব্রুয়ারি, সরস্বতী পুজো আবার ভ্যালেন্টাইন ডে । বাঙালি ছেলে-মেয়েদের কাছে সরস্বতী পুজোটাই আসল ভ্যালেন্টাইন ডে । আপনার প্রিয়তমকে ইমপ্রেস করার জন্যে গিফটের সঙ্গে আরেকটু কিছু সারপ্রাইজ দিলে কেমন হয়? তাই হ্যাংলা হেঁশেল এই সংখ্যায় নিয়ে এলো প্রেমের রান্না ! নুন, মিষ্টি, মশলা একটু চেখে রান্না করে চমকে দেওয়া যাক ভালবাসার মানুষটাকে। ভালবাসার রং ভাল খাবারের আস্বাদ !
মাছের দারুণ সব রেসিপির পাশাপাশি থাকছে মেছুড়েদের নানা মজার গল্প। মেছুড়ে যাদের কাছে মাছ ধরার থেকে বড় শখ আর কিছুতে নেই। ফিসফ্রাই,কাসুন্দি আর গরম কফির সঙ্গে জাস্ট জমে যাবে মেছুড়েদের নানা মজার গল্প !
হ্যাংলা হেঁশেলের সঙ্গে এমন মুখোরোচক আড্ডা কি ছাড়া যায়?
মেছুড়েদের গল্প, আড্ডা, প্রেমের রান্না আর আন্তর্জাতিক হেঁশেলের কড়চা নিয়েই আমাদের এই সংখ্যা । হাতে না নিলে সবটাই লস । মলাট থেকে মেছো গন্ধ বেরুবে কিনা তা বলা মুস্কিল তবে রান্নায় তাক লাগতে বাধ্য ।