মৃদুমন্দ বাতাস, আম্র মুকুলের ঘ্রান আর পড়ন্ত বিকালে আকাশ জুড়ে পলাশের আভা জানান দিচ্ছে শীতের অবসান আসন্ন। শীত চলে যাবার আগে শীতের সবজির শেষ মজা টুকু যদি রসনায় ধরে রাখতে চান তবে একবার নিজের হেঁশেলে রান্না করে দেখতে পারেন ফুলকপির নবাবী কোপ্তা। কথা দিচ্ছি পোলাও বা পরটার সাথে এই পদ জমিয়ে দেবে আপনার রাতের খাবার। জেনে নিন এই পদের সমস্ত বিবরণ।
উপকরণঃ
পেঁয়াজ বাটা
রসুন বাটা
আদা বাটা
ধনেপাতা
মুসুর ডাল বাটা
বেসন
জিরে গুঁড়া
কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো
টকদই
নুন
চিনি
ঘি
সাদা তেল
চিজ
ছোট এলাচ
দারচিনি
ধনে গুঁড়ো
লঙ্কা গুঁড়ো
কসৌরি মেথি
পাতিলেবু
টমেটো
কাঁচালঙ্কা
গরম মশলা গুঁড়ো
প্রণালীঃ
প্রথমে একটি পাত্রে মুসুর ডাল বাটা, আধ চামচ কাচালঙ্কা বাটা ও সামান্য এলাচ দিয়ে বাটা ১ চামচ ধনেপাতা , অর্ধেক পাতিলেবুর রস,সামান্য কসুরিমেথি, সামান্য বেকিং পাউডার, ১ চামচ টমেটো পিউরি, স্বাদমতো নুন ও চিনি এবং বেসন দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রনে আগে থেকে সামান্য ভাপিয়ে রাখা ফুলকপির টুকরো গুলো দিয়ে কোট করে নিন।
এবার কড়াইতে খানিকটা সাদা তেল ও ঘি মিশিয়ে নিয়ে গরম হতে দিন, এবার ডুবো তেলে ফুলকপি লালচে করে ভেজে তুলে রাখুন। এবার কড়া থেকে কিছুটা তেল তুলে নিয়ে বাকি তেলে ১টা শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, সামান্য গোটা জিরে ও ২-৩টি লবঙ্গ ফোঁড়ন দিন।মশলার সুগন্ধ আসতে শুরু করলে তাতে পেঁয়াজ, আদা , রসুন বাটা দিয়ে সামান্য কশিয়ে টমেটোর পেস্ট দিয়ে সামান্য নেড়েচেড়ে নিয়ে তাতে কাশ্মীরি লঙ্কা ও লাল লঙ্কার গুঁড়ো ও স্বাদ মতো নুন ও চিনি এবং কাজু ও চারমগজের পেস্ট দিন। এতেই ১চামচ করে ধনে ও জিরের গুঁড়ো দিন ও ভাল করে কশান। সমস্ত মশলা ভাল করে কশানো হলে কিছুটা টকদই মেশান, ও প্রয়োজন মতো গরম জল দিন। গ্রেভি ফুটে উঠলে কোপ্ত গুলো দিয়ে দিন। কিছুটা সময় কোপ্তা গুলি রান্না করে উপর থেকে ধনেপাতা কুচি, গ্রেড করা চিজ , কিছুটা ঘি ও গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে ২ মিনিট ঢাকানা দিয়ে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে ফুলকপির নবাবী কোপ্তা। গরম গরম রুটি বা পরোটার সাথে পরিবেশন করুন শীতে সবজির এই মজাদার রেসিপি।