আমার বোনঝি টিনার ফোন পেয়ে ধড়মড়িয়ে উঠে বসলাম কাল রাতে। ফোনের ওপার থেকে টিনার গলা,’মাসিমণি আমার মেয়ের খুব কাশি হয়েছে ঠাণ্ডা লেগে। কাশতে কাশতে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে কী করি বলো না।’ বললাম,’এক গ্লাস গরম দুধে মাখন ফেলে তোর মেয়েকে খাওয়া, ওর কষ্ট একটু হলেও কমবে।’
Blog
গ্রিলারে মাছ যাতে না পোড়ে…
অরিজিৎদা ব্যাচেলার মানুষ, আমাকে ফোন করে বলল,’বৌদি, ফিশ ফিলে গ্রিল করতে গিয়ে পুড়ে গেছে অল্পস্বল্প, কী করি বলুন তো?’ আহারে বেচারা। বলে দিলাম,’অরিজিৎদা, গ্রিলারের ওপর লেবু স্লাইস করে রেখে তার ওপর মাছের ফিলে রেখে গ্রিল করে নেবেন। মাছ তো পুড়বেই না, উল্টে একটা লেবু-লেবু গন্ধ ছাড়বে।’
কৌটোর ঢাকনা আটকে গেলে…
সেদিন আমি আর পৌলমী হঠাৎ হাজির হয়েছিলাম মৌমিতার বাড়ি। আমাদের কুলের আচার খাওয়াবে বলে কিছুতেই শিশির ঢাকনা খুলতে পারল না। ওর বরের যা শক্তি। তারই কাজ এটা। তখন বললাম,’হ্যাঁরে একটা মোটা রাবার ব্যান্ড ঢাকনার চারপাশে আটকে এবার ঢাকনা ঘোরাতে থাক, দ্যাখ আপসেই খুলে আসবে ঢাকনা।’
আইসক্রিম যাতে না গলে…
থার্টি ফার্স্ট নাইট ডিনারে ডেকেছিল প্রতিমাদি। শেষপাতে আইসক্রিম খেতে গিয়ে দেখি, সব কেমন গলে গেছে। যদিও ডিপ ফ্রিজেই ছিল। না বলে আর পারলাম না। বলেই ফেললাম,’প্রতিমাদি এবার থেকে প্লাস্টিকের ফ্রিজার ব্যাগে ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখো। তোমার আইসক্রিম গলে যাবে না আর।’
নিরামিষ কথন!
কাল রাত থেকে শ্যামলদের বাড়িতে শুরু হয়েছে মহা উৎপাত। বড় শ্যামল অর্থাৎ শ্যামলের ঠাকুর্দা গতকাল রাত থেকে আমিষ খাবারের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছেন! আমিষ খাবার ছুঁয়ে দেখবেন না! শ্যামলের মা পড়েছেন মহা ফাঁপরে ! শ্বশুরের কথা মত আমিষ রান্না করলেই খুব অশান্তি! নিজে খাবেন না আর কাউকে খেতেও দেবেন না! উভয় সংকট!! ব্যাপারটা এমন…
রেনবো মাকি রোল
উপকরণঃ- স্মোকড স্যামন, অ্যাভোকাডো, শসা, ক্র্যাব স্টিক, স্পাইসি মেয়োনিজ, সুশি রাইস, সিউইড, রেড বেল পেপার, ব্লাঞ্চড শ্রিম্প। প্রণালীঃ- এই রান্নাটি করার জন্য একটা ছোট ম্যাট লাগবে। ম্যাটের ওপরে একটা সিউইডের শিট পেতে দিন। তার ওপরে দিন ৭০ গ্রামের মতো সুশি রাইস। ভাল করে সিউইড শিটটার ওপর বিছিয়ে দিন সুশি রাইসটা। ঠিক মাঝখানটায় দিন স্পাইসি মেয়োনিজ।…
বিয়ে বাড়ির খাওয়া দাওয়া :
আবার একটা বিয়ে বাড়ির নেমতন্ন? আর কত খাবি ভাই? আমাদেরকেও সঙ্গে নিয়ে চল না! তোকে দেখে হিংসা হচ্ছে! সত্যি সেই ডিসেম্বর মাস থেকে একটার পর একটা নেমতন্ন বাড়ি খেয়েই যাচ্ছিস! আর আমাদের ভাগ্যটা দেখ! সেই কবে একটা পেয়েছি! হ্যাংলা হেঁশেল ক্লাবের মেম্বারদের মধ্যে একমাত্র সুমন-ই এত্তো নেমতন্ন খাচ্ছে! ইয়ে বহুত না ইনসাফি!! আরে বাবা…
চটজলদি ব্রেকফাস্ট
চাঁদমামা শুয়ে পড়লে সুয্যিকাকু পুবের ব্যালকনিতে এসে হেসে বলে গুড মর্নিং। সারাদিনের দৌড়ঝাঁপ টেনশনের আগে, শুরুটা যদি সারা যায় হেলদি টেস্টি প্রাতঃরাশে… তাহলে সারাটা দিনই আপনার। উইকডেজ থেকে উইকেন্ড ব্রেকফাস্ট, পাঞ্জাবি বা মারাঠি জলযোগ, নাকি লুচি আলুরদম।বাড়ির ছোটরা কী ধরনের ব্রেকফাস্টে খুশি, সেলেবরা কী খাচ্ছেন, কলকাতার স্ট্রিট ব্রেকফাস্ট থেকে ময়দানের জলখাবার—হ্যাংলা জুড়ে তারই সন্ধান।
হ্যাংলা-র রাজসিক পিকনিক
জয়পুরিয়া কলেজ ক্রস করতেই ভিড়টা শুরু হয়েছিল। সক্কাল সক্কাল। একে একে দলদল ধুকে যাচ্ছিল শোভাবাজার রাজবাড়ির গেট পেরিয়ে। হ্যাংলা হেঁশেল-এর পিকনিক বলে কথা। গেট থেকে শুরু করে গোটা রাজবাড়িই সাজানো লাল-সাদা বেলুনে। প্রত্যেক অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ‘ছোটা ভীম’। হ্যাংলার দলবলে ভরেছিল শোভাবাজার রাজবাড়ির আনাচ-কানাচ। ধুতি-পাঞ্জাবি পরে অতিথিদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন শোভাবাজার রাজবাড়ির…
বেথুয়া শাকের পুলি
উপকরণঃ- বেতো (বেথুয়া) শাক (১ আঁটি), নারকেল কোরা (৩ চা-চামচ), কিশমিশ বাটা (১ চা-চামচ), আমসত্ত্ব বাটা (১ চা-চামচ), চিনি (৩ চামচ), গুঁড়ো দুধ (১ চামচ), দুধ (৫০০ মিলি), ময়দা (৪ চা-চামচ), চালের গুঁড়ো (১২৫ গ্রাম)। প্রণালীঃ- প্রথমে কড়াই আঁচে বসিয়ে ময়দা, চালের গুঁড়ো ও গরম জল দিয়ে কড়াই থেকে ছেড়ে না আসা অবধি নাড়তে হবে।…
সজনে ফুলের বড়া
উপকরণ:- সজনে ফুল, বেসন,কর্নফ্লাওয়ার,চালের গুঁড়ো,আদা কুচি ,লঙ্কা কুচি ভাজা জিরা গুঁড়ো, কালোজিরা,লবণ পরিমাণ মত। প্রণালী :- প্রথমে সজনে ফুল খুব ভাল করে ধুয়ে শুকিয়ে রাখতে হবে। এরপর একটা বাটিতে এক এক করে সম পরিমাণ মত বেসন,কর্নফ্লাওয়ার ও চালের গুঁড়ো নিয়ে তার মধ্যে আদা কুচি,লঙ্কা কুচি,কালোজিরা,ভাজা জিরে গুঁড়ো ও লবণ মিশিয়ে তারমধ্যে সজনে ফুলগুলো খুব ভাল করে মিশিয়ে…
স্টিম দই বড়া
উপকরণঃ- অহড়র ডাল, মুগ ডাল, আদা বাটা, নুন, হিং, ইনো সল্ট, টক দই, তেঁতুল, ধনেপাতা কুচি, লঙ্কা বাটা, সেউ ভাজা, ভাজা মশলা। প্রণালীঃ- অড়হর ডাল ও মুগডালটা ভাল করে ধুয়ে ৩-৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে দিন। পরে দু’রকমের ডাল মিক্সিতে ভাল করে বেটে নিতে হবে। ওই ডালের মিশ্রণে একে একে মেশাতে হবে হিং, আদা বাটা, লঙ্কা…
শেফ সুশান্ত সেনগুপ্ত
শুরুটা ১৯৯৩ সালে। কলকাতার আইএইচএম থেকে হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাশ করার পর কলকাতার দ্য পার্কের ‘জেন’-এ কালিনারি কেরামতি দেখিয়েছেন শেফ সুশান্ত সেনগুপ্ত। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা আয়োজিত রান্নাবান্না ও খাওয়াদাওয়া সংক্রান্ত প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। দিল্লির ‘তাজ প্যালেস’-এ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শেফ সুশান্ত সেনগুপ্ত আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে খোলেন বাঙালি খাবারের অভিজাত রেস্তোরাঁ ‘৬ বালিগঞ্জ প্লেস’। পাশাপাশি খোলেন ওরিয়েন্টাল…
শেফ মধুমিতা মোহান্ত
এই মুহূর্তে কলকাতার দ্য ললিত গ্রেট ইস্টার্নের এগজিকিউটিভ শেফ। প্রায় ১৯ বছরেরও বেশি কাজের অভিজ্ঞতা। কলকাতার দ্য পার্ক হোটেলে হোটেল ম্যানেজমেন্ট ট্রেনি হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন মধুমিতা। তারপর রিৎজ কার্লটন, শেরাটন, ফোর পয়েন্ট বাই শেরাটন অ্যান্ড দ্য ক্লারিজেস ইন্ডিয়া, সিঙ্গাপুর, বাহারিন এবং কুয়েতে ঘুরে আবার কলকাতায়, ললিত গ্রেট ইস্টার্নে। নামকরা ফর্মুলা এফ ওয়ান প্লেয়ার…
শেফ বিকাশ কুমার
শুরুটা ৯৭-এ। তারাতলা আই এইচ এম থেকে পাস করে তাজ বেঙ্গলে ম্যানেজমেন্ট ট্রেনি এবং সি পি ডি হিসেবে চার বছর ছিলেন শেফ বিকাশ কুমার। এরপর ব্রিটিশ ক্রুজশিপ ইন্ডাস্ট্রির অধীনস্ত ‘কুইন এলিজাবেথ টু’ এবং ‘কুইন মেরি টু’-তে তিন বছর কাটিয়েছেন হেঁশেলের কর্ণধার হিসেবে। ইন্টারকন্টিনেন্টাল গোয়াতে পেস্ট্রি শেফের দায়িত্ব সামলে ২০১০ সালে কলকাতার ভোজনবিলাসীদের বহু চেনা…
শেফ রজতজ্যোতি মুখার্জি
পুরোপুরি উত্তর কলকাতার ছেলে শেফ রজতজ্যোতি। স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে পাশ করে হোটেল ম্যানেজমেন্টের পরীক্ষা দেন। তখন হোটেল ম্যানেজমেন্টের ক্রেজটাই আলাদা। পরীক্ষায় ভালমতো পাশ করে সোজা আইএইচএম চেন্নাই। চেন্নাইতে প্রথম ট্রেনিং- আইটিসি চোলা শেরাটনে। ১৯৯৮-তে প্রথম চাকরি পান ওবেরয় রাজবিলাসে। কর্মক্ষেত্রে শুরুর দিন থেকে আজ অবধি শেফ রজত ‘ওবেরয়’-এর সঙ্গে জড়িয়ে। ইজিপ্টে ছিলেন প্রায় ৭…