ছানার বাটি পায়েস
পেশায় অধ্যাপক রঞ্জন গাঙ্গুলী। একাই থাকতেন নাকতলার ছোট্ট ফ্ল্যাটে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্ত্রী মালবিকা ওদের একমাত্র মেয়ে মুনিয়ার কাস্টডি নিয়ে দেশান্তরী। আপন বলতে রঞ্জনের সঙ্গী তাঁর সহকর্মী, ছাত্র ছাত্রী আর ঘরের আলমারি ভরা বই। হঠাৎ এতোদিন পর যখন রঞ্জন জানতে পেরেছিলেন যে ওদের মেয়ে কলকাতায় আসছে একটা ডকুমেন্টারি শুটিং-এর জন্য আর যেকটা দিন থাকবে মুনিয়া, সে তার বাবার সঙ্গেই থাকবে। সেদিন থেকেই চলছে এক যুদ্ধকালীন মেজাজ। বাড়ির হেল্পিং হ্যান্ড ঝর্ণার তো নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা। এরপর যেদিন ফাইনালি মুনিয়া আশালতা অ্যাপার্টমেন্টের চার তলায় পৌঁছালো, সে যে কি ঘটে গেছিলো ভাষায় প্রকাশ অসম্ভব। বাবা মেয়ের কথার মেঘ কখনো অভিমান কখনো অভিযোগ, কখনো হাসি কখনো কান্না হয়ে বয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় রঞ্জন ফ্রিজ থেকে বের করে আনলো বাটি ভর্তি মিষ্টি ভালোবাসা ছানার বাটি পায়েস। মেয়ে তো খেয়ে চক্ষু চড়কগাছ করে বলল… ওয়াও, কার রেসিপি? ঠাম্মির? মানে তোমার মায়ের? রঞ্জন খানিকটা নিশ্বাস ছেড়ে মেয়ের দিকে মুচকি হেসে বললেন না রে এটা তোর মায়ের রেসিপি।
উপকরণ: ছানা ২৫০ গ্রাম, দুধ এক লিটার, কিসমিস ১০ গ্রাম, চিনি ১২৫ গ্রাম, পেস্তা ১০ গ্রাম, ময়দা ২ চামচ, গোলাপজল ১ চামচ।
প্রণালী: ছানা খুব ভালো করে মেখে নিন।মাখা ছানার মধ্যে ময়দা ঠাসুন।এই ভাবে ছানা ময়দার মিশ্রণ থেকে বল বানান। বলগুলো হাতের চাপে চ্যাপ্টা করে নিন। এবার দুধ, চিনি, কিসমিস একসঙ্গে মিশিয়ে মাইক্রোওভেনে ৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে ১০ মিনিট রাখুন। দুধের মিশ্রণ ঘণ হয়ে এলে ওর মধ্যে ছানা ময়দার চ্যাপ্টা বল দিয়ে ১০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে পাঁচ মিনিট মাইক্রোওভেনে ঘুরিয়ে নিন। এরপর ওপর থেকে অল্প গোলাপজল আর পেস্তা ছড়িয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।