গিটস হ্যাংলা পুজোর সেরা ভোগ ২০১৫
বাঙালির জীবনে দুর্গাপুজোর মাহাত্ম্যটা আজও একই রয়ে গিয়েছে। দুর্গাপুজো মানে বঙ্গ জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আর আমাদের মানে হ্যাংলা-র কাছেও দুর্গাপুজো মানে একটু অন্যরকমের ভাবনা। গত কয়েকবছর ধরে এই দুর্গাপুজোকে ঘিরে নানারকমের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কোথাও লড়াই সেরা প্রতিমা নিয়ে তো কোথাও সেরা প্যান্ডেল নিয়ে মারমার-কাটকাট যুদ্ধ। প্রতিযোগিতার লড়াইয়ে রয়েছে সেরা অসুর, এমনকি সেরা মূষিক মানে ইঁদুরও। তবে আমরা হ্যাংলার দলবল। আমাদের কাছে দুর্গাপুজোর আরেক নাম পেটপুজো। তাই পুজোয় আমাদের লড়াই দুর্গা মায়ের জন্য রাঁধা “মহাভোগ” নিয়ে। ২০১৪ থেকেই এই মহাভোগ বিভাগে সেরার তকমা ছিনিয়ে নেওয়ার লড়াই শুরু। ব্যতিক্রম হয়নি এবারেও। হ্যাংলার এই মহাভোগের প্রতিযোগিতায় সঙ্গে ছিল গিটস। এবং সহযোগী হিসেবে সঙ্গে ছিল কুচিনা মডিউলার কিচেন। আর প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল দশটি বনেদি বাড়ি এবং ত্রিশটি আবাসন। মহাভোগ ছাড়াও পুরস্কার ছিল “সেরা পোলাও”, “সেরা খিচুড়ি” এবং “সেরা পায়েস” বিভাগে, বনেদি বাড়ি এবং আবাসন দুটি ক্ষেত্রেই।
সপ্তমী আর অষ্টমীর দিন সেলিব্রিটি আর শেফেদের সঙ্গে নিয়ে চলে নানা জায়গায় ভোগ চেখে দেখার পালা। হ্যাংলার এই প্রয়াসে সঙ্গে ছিলেন তনিমা সেন, স্বাগতা মুখার্জী, সুভদ্রা চক্রবর্তী, সোনালি চৌধুরী, শ্রীতমা ভট্টাচার্য, সোলাঙ্কি রায়, বুলবুলি পাঁজা, রাজন্যা মিত্র, প্রিয়া পালের মতো পরিচিত অভিনেত্রীরা। হাজারো ব্যস্ততার মাঝে সময় দিয়েছিলেন শেফ রঙ্গন নিয়োগী, শেফ শেন চ্যাটার্জী, শেফ ময়ূখ মজুমদার, শেফ স্বরূপ চ্যাটার্জী, শেফ আনন্দ সরকার, রন্ধন বিষেশজ্ঞা শুক্লা মুখার্জী, রুকমা দাক্ষী, দীপান্বিতা ভাটিয়া এবং বাংলাদেশের রন্ধন পটীয়সী আলপনা হাবিব।
এক মাসের প্রতীক্ষার পর সম্প্রতি কলকাতার কলাকুঞ্জে ঘোষণা করা হল বিজয়ীদের নাম। বনেদি বাড়ির “সেরা খিচুড়ি”, “সেরা পোলাও” এবং “সেরা পায়েস”-এর সম্মানে সম্মানিত হল যথাক্রমে “শারদীয়া” দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি, গোস্বামি বাড়ি এবং ঘোষাল বাড়ি। অভিষিক্তা ২, স্কাইলাইন রেসিডেন্সি এবং মৈনাক অ্যাপার্টমেন্ট পেল যথাক্রমে “সেরা খিচুড়ি”, “সেরা পোলাও” এবং “সেরা পায়েস”-এর পুরস্কার। বনেদি বাড়ির সেরা মহাভোগ বিভাগে তৃতীয় এবং দ্বিতীয় পুরস্কার পেলেন যথাক্রমে খিদিরপুরের বাকুলিয়া হাউস এবং চোরবাগান চ্যাটার্জি পরিবার। আর সেরার সেরা হল উল্টোডাঙ্গার সাহা বাড়ি। আবাসন বিভাগে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পেল যথাক্রমে বেলেঘাটা আইডিয়াল কালচারাল সোসাইটি এবং রেসিডেন্সি অ্যাপার্টমেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। আর আবাসনের সেরা মহাভোগের শিরোপা উঠল সানি সিজনস শারদোৎসবের মাথায়। বিজয়ীদের সম্মাননা জানানোর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরনিগম-এর মেয়র-ইন কাউন্সিল মাননীয় দেবাশিস কুমার। শুধুমাত্র এই অনুষ্ঠানের জন্য পুণে থেকে চলে এসেছিলেন গিটস এর কর্ণধার শ্রী এম এ তেজানি এবং তার মেয়ে আশিয়া তেজানি। কুচিনা মডিউলার কিচেনের পক্ষ থেকে ছিলেন ব্র্যান্ড ম্যানেজার পিয়ালি গুহঠাকুরতা। হাজির ছিলেন অভিনেত্রী তনিমা সেন, শেফ দেবাশিস কুণ্ডু, শেফ রঙ্গন নিয়োগী, শেফ স্বরূপ চ্যাটার্জি, রন্ধন বিশেষজ্ঞা শুক্লা মুখার্জী, শর্মিষ্ঠা দে, বিপাশা মুখার্জী প্রমুখেরা। উপস্থিত অতিথিরা উপভোগ করলেন সুরজিৎ ও বন্ধুরা এবং সুস্বাতীর গান।