হ্যাংলা হেঁশেল ম্যাগাজিন
বাংলায় প্রথম আন্তর্জাতিক মানের ফুড ম্যাগাজিন
– এই পরিচয় নিয়েই জন্ম হ্যাংলা হেঁশেলের। ২০১২-র অক্টোবরে। এমন এক ম্যাগাজিন যার প্রতিটা পাতায় শুধু ভাল খাবার আর খাবারের সঙ্গে নানাবিধ খোঁজ। আর তার দৌলতেই হ্যাংলা বর্তমানে প্রত্যেক বাঙ্গালির মনে জায়গা করে নিয়েছে। মনে-প্রানে আমরা সকলেই আদ্যন্ত খাদ্যরসিক, হাংলাই বটে। এমনকি স্বাস্থ্যসচেতন যারা, তারাও ‘অল্প খাব, কিন্তু ভাল খাব’ এই ভাবনাটা একেবারে ঝেড়ে ফেলতে পারেন না। ভাল খাবারের মাহাত্ম্যই সেখানে। আসলে ‘ভাল স্বাদ’ আমাদের বাকি সব ইন্দ্রিয়কে অদ্ভুতভাবে প্রভাবিত করে। তাই প্রতিমাসে হ্যাংলার প্রতি পাতায় ‘ভাল স্বাদ’-এর খোঁজ মেলে। প্রতিমাসেই অভিনব কিছু। যা কিছু খাওয়া যায় তা নিয়েই অন্যরকম কিছু করার প্রচেষ্টা। অনেক শুভাকাঙ্খী এখন হ্যাংলার সঙ্গে। সদস্যদের নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘হ্যাংলা ক্লাব’। ‘হ্যাংলা ক্লাব’-এর সদস্যদের হাতে তৈরি সুস্বাদু রান্না জায়গা করে নেয় হ্যাংলার পাতায়। প্রতিমাসেই রন্ধন পটীয়সীদের জন্য থাকছে প্রতিযোগিতার আয়োজন, ‘হেঁশেলের ভানুমতী’ বিভাগে। এছাড়া ‘কুকিং ক্লাস’ তো আছেই। এসব মিলিয়েই এগিয়ে চলেছে হ্যাংলা। ভাল রান্না, শুধু ভাল রান্নার খোঁজে। আসলে ভাল রান্নার রেসিপি আর তা দেখে সেই রান্না বানিয়ে ফেলা, ‘ফুড দুনিয়া’টা শুধুমাত্র এটুকুতেই আটকে নেই। সারা দুনিয়া জুড়ে ফুড নিয়ে চলছে দারুণ সব এক্সপেরিমেন্ট। এমনকী আমাদের রাজ্যেও হচ্ছে নানা খাদ্য সংক্রান্ত নানা প্রয়াস। নানা জায়গায় হচ্ছে নানা ধরনের খাদ্যমেলা। সেইসব মেলায় বিক্রি হচ্ছে টার্কি, এমু, এমনকী খরগোশের তন্দুরি। বাইরের দুনিয়ার পাশাপাশি বাড়ির হেঁশেলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সাক্ষী। গৃহিণীদের কাছে কুকিংটা এখন অন্যতম জনপ্রিয় প্যাশন। সেই প্যাশনের তাগিদে তারা নিজে থেকেই খুলে ফেলছেন ঘরোয়া কুকিং ক্লাস। হ্যাংলা এইসব মিলিয়ে মিশিয়েই। আর খাদ্যরসিকদের ভালবাসাই হ্যাংলার পাথেয়।