হ্যাংলা ইস্পেশাল ছুটির মুড
ছুটির মুডকে করে তুলুন আরও ইস্পেশাল হ্যাংলা হেঁশেলের সাথে!!
“বিশু তুই ১০০ দিবি, গোপাল কাকা তোমার মেম্বার তো ৫? কাকা ৫০০। আরে কাকা সিলিপটা নিয়ে যাও| বাবাই তোর টাকাটা এখনও বাকি কিন্তু! আর সিন্টু তোর কি কেস রে? “ইয়ে দেবাদা বলছিলাম কি পিঙ্কিকে নিয়ে যাবো? এতো সস্তা তে যখন করছ!!”
অবাক হচ্ছেন? হ্যাংলা হেঁশেলে এইসব কি হচ্ছে? ঘাবড়ানোর কিচ্ছুটি নেই! এইটা ‘হ্যাংলা’-র স্পেশাল পিকনিক! বুঝুন পিকনিক করছে তাও আবার মাথা পিছু ১০০ টাকা দিয়ে!! এক্কেরে হক কথা! ১০০ -৩০০ টাকা দিয়ে মাথা পিছু পিকনিক, শুধু তাই না চলুন আমাদের সঙ্গে ঘুরে আসা যাক!
হাপিত্তিশ করে থাকার পর অবশেষে এলো শীতের দিন! বড়দিন, বছরের শেষ দিন আর নতুন বছর, এই মজাকে দ্বিগুণ করতে হ্যাংলা হেঁশেলও হাজির! স্কুল থেকে অফিস, বাড়ি থেকে ক্লাব; সবাই রেডি বস! পিকনিক-এর জন্যে হিমানীশ গোস্বামী বলেছিলেন “চড়ুই-রা ভাত খেলে সেটা হবে চড়ুইভাতি; তো চড়ুইদের মত ঘুরতে ঘুরতে খাবার চাখা যাক?” কাছে কিংবা দূরে হ্যাংলারা কি ছেড়ে দেবার পাবলিক? কভি নেহি!
পিকনিক এ গিয়ে মাংস যদি ঠিক মত রান্না না হয় তবে হেড অফিস গরম! মোদ্দা কথা হল হ্যাংলারা খাবারের আসল স্বাদ সবসময় পায়, তাই খাবার দাবারের সঙ্গে ফাজলামো না! তাই তো রন্ধন স্পেশালিস্টদের ৮ টা চিকেন মাটনের রেসিপি থাকতে ভাবনা কিসের?
শীতের বাজারে নতুন আলু আর আলুরদমের ছোট আলু, বেশ আলোচনার বিষয় বস্তু। পিকনিক এ গিয়ে সক্কাল সক্কাল বেলা ‘নুচি আর কষা আলুর দম’। এক মিনিট প্লিজ, “বেড়ে হয়েছে দাদা; এক হাতা এখানেও দেবেন!”
আরও আছে পিকনিকের জন্যে, থাকছে ছোট পেঁয়াজ থেকে বাঁধাকপি , ফুলকপি , পেঁয়াজকলি , পালং শাক দিয়ে রান্নার সন্ধান । হাজার হোক পিকনিক মেনু বলে কথা!!
আরে আপনারা হলেন গিয়ে হ্যাংলা ক্লাব এর অতিথি| লুচি, মাংস দিয়ে তো শেষ করতে পারি না! শীতের দুপুরে কমলা লেবু আর পানি ফল তো মুখ শুদ্ধির ও কাজ করে! হু হু বাওয়া, তাও আছে এই সংখ্যাতে। তা না হলে আর বলছি কি?
কলকাতার কাঠ বুড়োর কথা মনে আছে? ঠিক ধরেছেন অথেনটিক বাঙালি ভাই আমরা! সেই কাঠ বুড়ো মানে ভজহরি মান্নাও হাজির মুখোরোচক নানা গপ্পো নিয়ে।
এসে গেছেন! এত দেরী কেন করলেন? বসে যান ! ……গৌর , এখানে ভাত , মাংস । তা দাদা , স্পট খুঁজে পেতে অসুবিধা হয় নি তো ?
ভাবছেন নিশ্চয়ই যারা পিকনিক-এ যাবে না তারা কি বাদ? একদম না ! তারাও তো খাবে ! বচ্ছরকার দিন বলে কতা ! চিন্তা নেই শেফ দেবাশিস কুন্ডু হেঁশেলে চলে এসেছেন ! খাস্তা কচুরি সঙে ছোট আলুর দম ! একটা টেস্ট করে দেখি ! না মানে যদি আর কিছু লাগে! হ্যাংলা আর বলেছে কেন!! এছাড়া ফ্রেঞ্চ টোস্ট থেকে গ্রাম বাংলার স্বাদ কতবেল মাখা !! “আহা! আমার নেড়ি পিসি এমন মাখত গো”। দুকুর বেলা শেফ স্পেশাল কড়াই শুঁটি দেয়া পোলাও আর খাসির মাংস সাথে সিমুই এর পায়েস । খুব অসুবিধা হবে না আশা করি!
জয়্নগরের মোয়া তো পাড়ার মিষ্টির দোকানের সৌজন্যে সব্বাই খেয়েছে , শেফ’স ইস্পেশাল পাটালি গুড়ের মোয়া কখনো খেয়েছেন? এ মোয়া খেলে হরি দাসের বুলবুল ভাজাও মুখে রুচবে না ! তার ও রেসিপি আছে এই সংখ্যাতে।
দাদা!বলছি কি বাতাবি লেবুচাট– টাও আছে ! আসলে এটাই শেফ দেবাশিসের ম্যাজিক টাচ ! যা আমাদের হেঁশেলে আছে তা দিয়েই বানিয়ে ফেলা। সব কী সহজেই রান্না করে শিখিয়ে দিলেন ! আপনারাও শিখে নেবেন ! পেট ভরে খাবেন লজ্জা র কিছু নেই! আরো অনেক কিছু আছে!
হ্যাংলা ক্লাবের মিষ্টি মুখ :
রাবেয়া বেশ ভালো নলেন গুড় বানায় । পাঁচ পয়সার হাটে তার নলেন গুড়ের বেশ নাম ডাক । গঞ্জের বাজারেও যায় তার গুড় । সেই কোন ভোরবেলায় উঠে গুড় জ্বাল দেওয়া , বেশি জ্বাল হয়ে গেলে গুড়ে গন্ধ আসবে না ! বিক্কিরি ও হবে না ! সেই হেঁশেল থেকে নিয়ে এসেছি নলেন গুড়ের নস্টালজিয়া!! ৫ টা ইনোভেটিভ রেসিপি নলেন গুড় দিয়ে ।
দেখুন দিকি বেশ সন্ধ্যা হয়ে গেল ! এই মানিক ড্রাইভার কে ডাক , রাত হচ্ছে ! ফিরতে হবে!!ঠাণ্ডা পড়ছে বেশ ।