হেঁশেল এ হৈ চৈ :
ঠান্ডা পড়তে না পড়তেই যাই যাই রব জুড়ে দিয়েছে । আর কি করা যাবে? তাই বলে খাওয়া দাওয়া তো বন্ধ থাকতে পারে না! তাই আমরা মানে হ্যাংলা ক্লাবের পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য যত্সামান্য নিবেদন পেশ করা হল।
Fried Rice with Carrot & Mutton Liver:
কি কি লাগছে? দেরাদুন চাল ৫০ গ্রাম , মাটন লিভার ৪০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, রসুন বাটা ৭ কোয়া , আদা বাটা ৪ চামচ, জায়ফল গুঁড়ো হাফ চা চামচ, নুন চিনি স্বাদ অনুযায়ী, গরম মশলা ৩ চা চামচ , সাদা তেল ২০০ গ্রাম আর ঘি ১০০ গ্রাম, তেজ পাতা অল্প, গাজর ৩০০ গ্রাম।
কেমন করে বানাতে হবে?
চাল ধুয়ে লম্বা ন্যাপকিন পেপারে ছড়িয়ে শুকিয়ে নিতে লাগবে । এইবার লিভারগুলো ছোট ছোট করে কেটে গরম জলে ধুয়ে কড়াইতে সাদা তেল গরম করে তেজপাতা, গরম মশলা ফোড়ন দিয়ে লিভারগুলো দিয়ে ভাল করে ভাজতে হবে। একটু ভাজা ভাজা হয়ে গেলে পেঁয়াজ, রসুন, আদাবাটা দিয়ে কষে চাল ঢেলে দিয়ে নুন মিষ্টি আর জায়ফল গুঁড়ো দিয়ে ঢাকনা চাপা দিয়ে দিতে লাগবে। একটু পর আন্দাজমতো জল দিয়ে আবার ঢাকনা বন্ধ করে দিতে লাগবে। এইবার গাজরগুলো খুব মিহি করে কেটে ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে লাগবে। আর কয়েকটা গাজর রিং রিং করে কেটে আলাদা করে তুলে রাখতে হবে।
পরিবেশনের জন্যে:
একটা রাইস বোলে রিং করে কেটে রাখা গাজর, তার ওপর পেঁয়াজ সাজিয়ে ফ্রাইড রাইস ঢেলে ওপরে কিছু লিভার, ধনেপাতা দিয়ে গার্নিশ করে সাজিয়ে পরিবেশন করা যাক।
এই ঠাণ্ডার আমেজে বাঙালিদের কাছে পিঠে উৎসব একটা বড় পার্বণ। পিঠে তো কত রকমের হয়ে থাকে । ছোটবেলায় পড়া ঠাকুমার ঝুলির গল্পের পিঠে পাগল বামুনের গল্প তো এই পিঠে উৎসবকে নিয়েই ।
হ্যাংলা হেঁশেলের ঝুলি থেকে সেরকম একটা হারিয়ে যাওয়া পিঠের গল্প বলা হল ।
Gokul Pithe:
যা যা লাগবে বানানোর জন্যে : ১ লিটার দুধ , ৫০০ গ্রাম চিনি , ময়দা ৫০০ গ্রাম , খাওয়ার সোডা ২ চা চামচ । বড় এলাচ গুড়ো ১ চামচ , মিছরি ১৫০ গ্রাম, সোয়াবিন তেল ৫০০ গ্রাম ।
কেমন করে করতে লাগবে?
১ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে তার মধ্যে অল্প এলাচ গুঁড়ো ফেলে দিতে লাগবে। এরপর সেটাকে ফুটিয়ে ফুটিয়ে খোয়া করতে লাগবে । ময়দার সঙ্গে খাওয়ার সোডা ভাল করে মিশিয়ে নিতে লাগবে । ময়দার মিশ্রণের মধ্যে সাদা তেল দিয়ে ভালো করে মাখতে হবে । এইবার ক্ষীরগুলোকে হাতের তালুতে চাপ দিয়ে চ্যাপ্টা করে নিতে লাগবে।
রসের জন্য চিনি আর মিছরি একসঙ্গে গরম জলে ফুটিয়ে ঘন রস করে নিতে লাগবে ।
ময়দার গোলা করে তার মধ্যে ক্ষীরের চাকতি গুলো ডুবিয়ে তেলে লাল করে ভেজে তেল ঝরিয়ে ঠান্ডা রসের মধ্যে ফেলে রাখতে হবে ।
এইবার কাঠের প্লেট-এর ওপর সুন্দর করে সাজিয়ে ওপরে হালকা গুঁড়ো খোয়া ক্ষীর ছড়িয়ে দিলেই তৈরি ঘরে বানানো গোকুল পিঠে ।
বাঙালির রান্নার হরেক রকম ফিকির আছে। আবার এপার বাংলার রান্না আর ওপার বাংলার রান্না ও কিছুটা আলাদা, তাই স্বাদ এর হেঁশেলে হ্যাংলাদের বরাবর পোয়াবারো ।
তাই একটা খাঁটি বাঙালি রেসিপি আপনাদের জন্যে দেওয়া হল।
বাজারে এখন বেগুন বেশ ভালো উঠেছে আর দামও বেশ কম। রাতে বেগুন ভাজা রুটি বা লুচি আর বেগুন পোড়ার রীতিও বেশ মুখরোচক । আমরা দিলাম বেগুনের টক ঝাল ।
কেমন করে বানাবেন? খুব সোজা, ২৫০ গ্রাম বেগুন, রসুন, কাঁচালঙ্কা, গোটা সর্ষে, তেঁতুল ২৫ গ্রাম । সর্ষে, কাঁচালঙ্কা, রসুন একসঙ্গে বেটে রেখে দিতে হবে; বেগুনগুলো দুফালি করে ভেজে ওপরে বাটা মশলা দিয়ে অল্প জল দিতে হবে। তেঁতুল জলে গুলে বেগুনের ঝোলের মধ্যে দিয়ে, অল্প নুন ছড়িয়ে অল্প আঁচে বসিয়ে ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে মাখো মাখো হলে নামিয়ে রুটির সঙ্গে জমিয়ে খান ।