বাঙালিয়ানায় নতুন খানা
‘আছে, আছে আমাদের টেলিপ্যাথির জোর আছে’… মনে আছে একটা সময় নিয়ম করে প্রতি বইমেলায় সংগ্রহ করতাম ফেলুদার এক একটা সমগ্র। নেশার মত ছিল। গল্প পড়তে পড়তে আমাদের সকলের মধ্যেই জন্ম নিত একটা গোয়েন্দা সত্ত্বা। এটা বোধহয় সব বাঙালি ছেলেমেয়ের ছোটবেলার গল্প। এরপর এক এক জীবনে আসত ব্যোমকেশ, কিরীটী, কাকাবাবু, প্রফেসার শঙ্কু, মিতিন মাসি, গোগোল। আসলে বাঙালি জীবনে বইয়ের পাতার চরিত্রের ভূমিকা ভীষণই গভীর। সাদা-কালো অক্ষরগুলো গেঁথে যেত মন ও মননে। শুধু গল্পের হিরোরাই নয় ভিলেন থেকে শুরু করে বেশ কিছু পার্শ্বচরিত্রেরাও। আশেপাশের কিছু মানুষ দেখলে মনে হত আরে ঠিক অমুক গল্পের অমুক চরিত্র। স্কুলের দস্যি, ভয়ডরহীন, আপনভোলা ছেলেটা পরিচিত হত ‘পাগলা দাশু’র নামে। কিছু কিছু চরিত্রের প্রভাব এমনই গাঢ় ছিল যে মনে হত, আমিও যদি এমন হতাম। তারপর বড় হওয়ার পাশাপাশি সেই লক্ষ্য বদলে গেলেও স্মৃতির মণিকোঠায় রয়ে যায় সেই গল্প, উপন্যাস আর তার চরিত্রেরা। এবার হ্যাংলা নতুন বছরে দায়িত্ব নিল ম্যাগাজিনের পাতায় সেই ছেলেবেলার স্মৃতি উসকে দেওয়ার। ফেলুদা, গুপী-বাঘা, ব্যোমকেশ, টেনিদা, কাকাবাবু, কিরীটী, কিকিরা, পাগলা দাশু, মগনলাল মেঘরাজ, মিতিন মাসি, গোগোলের মতো কুড়িটি সাহিত্যের পাতার চরিত্র এল হ্যাংলার পাতায়। সঙ্গে তাঁদের প্রিয় ভোজ, কিছু ট্র্যাডিশনাল ফর্মে তো কিছু ফিউশন কায়দায়। নিজের ছেলেবেলাকে সঙ্গে নিয়েই না হয় হোক এবারের নববর্ষ উদযাপন।