ওয়ান ডে শেফ

10 Mar 2017 | Comments 0

বাকি ৩৬৪-টা দিনও হয়ত এরকম ভাবেই কাটে। তবে একটা দিন ব্যতিক্রম হল। উত্তর কলকাতার দক্ষিণেশ্বরের বাসিন্দা সুপ্রিয়া মণ্ডল। হাসিখুশী মেজাজের এই মানুষটা সবচেয়ে যে কাজটা করতে ভালবাসেন সেটা হল রান্না। সুরাঁধুনি হিসেবে বাড়ির লোকজন, আত্মীয়-স্বজনের কাছে পরিচিতি ছিল অনেকদিনই। কিন্তু এভাবে প্রকাশ? নাহ, এমনটা আগে হয়নি। তাই মার্চের ৮ তারিখ অর্থাৎ আর্ন্তজাতিক নারী দিবসটা একেবারে অন্যভাবে কাটালেন সুপ্রিয়া মণ্ডল। হয়ে গেলেন হ্যাংলা হেঁশেলের প্রথম ‘ওয়ান ডে শেফ’।

হ্যাঁ, একদিনের শেফ। এমনই অভিনব এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলাম আমরা, মানে হ্যাংলা হেঁশেলের দল। প্রায় ১০ দিন ধরে চলা এই প্রতিযোগিতায় বিপুল সাড়া পেয়েছি আমরা। রান্না করাটা যাদের শখ তাদের রেসিপিতে উপচে পড়েছিল আমাদের মেল-বক্স। সেখান থেকেই সেরা নির্বাচিত হন সুপ্রিয়া মণ্ডল। এই নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন আমাদের খুব কাছের মানুষ শেফ রঙ্গন নিয়োগী। প্রথম থেকেই ভাবনা ছিল যে যিনি বিজয়ী হবেন তিনি রান্না করার সুযোগ পাবেন কলকাতার এক নামী হোটেলের কিচেনে। তাই সুপ্রিয়া মণ্ডল নারী দিবসের দিন হাজির ছিলেন সল্টলেক সিটি সেন্টার ১-এর ‘আফরা’তে। আর বানালেন ওনার বিজয়ী রেসিপি ‘ফিশ রুলাড ইন স্যাফ্রন ক্রিম’। শুধু তাই নয় ‘আফরা’র টেবলে টেবলে সাজানো ছিল সুপ্রিয়া মণ্ডলের ছবি ও রান্নার ছবি-সহ টেন্ট কার্ড। ওনার হাতে তুলে দেওয়া হল শেফের টুপি এবং অ্যাপ্রন। সবশেষে হাতে তুলে দেওয়া হল ‘ওয়ান ডে শেফ’-এর ট্রফি এবং সাম্মানিক। সুপ্রিয়াদির রান্না করা ফিশ রুলাড জমিয়ে খেলেন হ্যাংলার সম্পাদক অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়, আফরা-র শেফ স্বরূপ চ্যাটার্জি এবং শহরের তিন ফুড ব্লগার রাজদীপ ভট্টাচার্য, কনীনিকা দে এবং দীপ্যমান বসু। ও হ্যাঁ, এই সমগ্র প্রয়াসে আমরা দারুণভাবে পাশে পেয়েছি আফরা-কে। ‘ওয়ান ডে শেফ’-এর তকমা পাওয়ার পর সুপ্রিয়াদি গর্বের সঙ্গে বলতে পারেন ‘আমিও শিল্পী, আমি রাঁধতে পারি’। আগামী দিনে এমন আরও ‘ওয়ান ডে শেফ’-এর খোঁজে আবারও হাজির হব আমরা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হ্যাংলা শো-কেস

সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের অনলাইন স্টোরে আপনাকে স্বাগতম

1
Latest Magazine