Description
অনুরাগ আজন্ম হ্যাংলা, ভালভাবে বলতে গেলে বলতে হয় ফুডি। সেই ছোট্টবেলা থেকেই স্কুলে বন্ধুর টিফিন, ফ্রিজে থাকা সন্দেশ, চিজ, পেস্ট্রি, আঙুর, তরমুজ, জ্যাম, কিচেনের র্যাক থেকে বিস্কুট, চানাচুর, বাদাম এবং রান্না করা ভালমন্দ খাবারও ম্যাজিকের মতো উধাও হয়ে যেত। এসবের হাতযশ ছিল একজনেরই, সবাই বুঝত। এই খাই খাই বাতিক থেকেই পরবর্তীতে রান্নাবান্নার প্রতিও আগ্রহ বাড়ে। বড় হওয়ার পর অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে বা ছুটিছাটার দিনে হেঁশেলের ইনচার্জ হয়ে যেত অনুরাগ স্বয়ং। সেদিন মা, ঠাম্মি, রান্নার পিসি সবার ছুটি। সেদিন অনুরাগই বাড়ির ভজহরি মান্না।
খাওয়া এবং রান্নার প্যাশন থেকেই একদিন হঠাৎ করেই খুলে ফেলল নিজস্ব রেস্তোরাঁ। প্রথম প্রথম একটু আধটু সমস্যা হলেও আজ কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ মিলিয়ে তার ৬টা রেস্তোরাঁ রমরম করে রাজত্ব করছে ভোজনবিলাসীর রসনায়। এরকম সাকসেস স্টোরির পেছনে রয়েছে আত্মবিশ্বাসী মন, সম্পূর্ণ সমর্পণ, পরিশ্রম আর প্যাশন। প্যাশন থেকেই জন্ম নিতে পারে স্বপ্নের ইমারত।
অন্যদিকে শহরে সিঙ্গল মাদার হিসাবে স্ট্রাগল করা সুলগ্নাও ক্যাফে খুলে ফেলেছে হঠাৎ করেই। এর পেছনে অবশ্য প্যাশনের পাশাপাশি দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার সংগ্রামই সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে। যেদিন হঠাৎ করেই চাকরি থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ের অজুহাতে ছাড়ানো হয়েছিল সুলগ্নাকে, তখন একরত্তি মেয়েকে নিয়ে চরম বিপদের সম্মুখীন হয়েছিল সুলগ্না। সেদিন বন্ধু সন্দীপের বাড়ির পরিত্যক্ত গ্যারাজকে মেরামত করিয়ে, সাজিয়ে গুছিয়ে, আলো সাজিয়ে খুলেছিল স্বপ্নের ক্যাফে। আজ সেই ক্যাফে টক অফ দ্য টাউন। যদিও এর পেছনে বহু অনিশ্চয়তা, বহু ঘাম, বহু রক্ত জল করা সংগ্রামী পদক্ষেপ রয়েছে।
যাঁরা এইভাবে কখনও নতুন কিছু করার তাগিদে, কখনও নতুন ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে, কখনওবা চাকরির জাঁতাকল ছেড়ে বেরিয়ে এসে স্বাধীনভাবে উপার্জন করতে চান, তাঁদের জন্য এই মলাট কাহিনি আদর্শ। বিভিন্ন পরিস্থিতির চাপে পড়ে বা শুধুমাত্র প্যাশন আর ভালবাসা থেকে কোনওরকম পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই রেস্তোরাঁ বা ক্যাফে খুলেছেন এবং সফলভাবে রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন সেই মানুষরা বাতলে দিচ্ছেন নতুন রেস্তোরাঁ খোলার পথ নির্দেশিকা। আইএইচএম-এর প্রিন্সিপাল ইন চার্জ, কনসালটেন্ট শেফ এবং আর্থিক উপদেষ্টার পরামর্শ থাকছে। হ্যাংলা পড়ুন আর নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করুন।
Reviews
There are no reviews yet.